হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রচণ্ড দাবদাহে ফলের জুস ও ঠান্ডা কোমল পানীয়ের পাশাপাশি ডাবের চাহিদা বেড়েছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। ১০০ টাকার নিচে মিলছে না ডাব। তুলনামূলক বড় আকারের একটি ডাব কিনতে গুনতে হচ্ছে ১২০ টাকা।
উপজেলার ঝিটকা বাজারে ডাব বিক্রি করেন আজাদ মিয়া। পাশাপাশি উপজেলার আরও কয়েকটি দোকানে পাইকারি দরে ডাব সরবরাহ করেন তিনি।
কথা হলে আজাদ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০-২৫ বছর ধরে ডাবের ব্যবসা করছি। এবার ডাব পাচ্ছি না। ফরিদপুর-খুলনা-বরিশাল থেকেও ডাব এনে বিক্রি করছি। প্রতিদিন এক হাজার ডাবও বিক্রি করছি। দুই মাস ধরে ডাব পাচ্ছি না। এখন ৫০-৬০টি ডাব বিক্রি করছি। ডাব পাওয়া যায় না বলে শুধু দোকানে বিক্রি করছি। প্রতিটি ডাব ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আশ্বিন মাসের পর থেকে আবার বেশি ডাব পাওয়া যাবে, তখন দামও কম হবে। বিক্রিও বেড়ে যাবে।’
হরিরামপুর উপজেলা চত্বরের পাশে ডাব বিক্রি করেন স্বপন ও মাইনুল। কথা হলে তাঁরা জানান, প্রতিটি ডাব ১০০ টাকা বিক্রি করছেন। এখন ডাব কম পাওয়া যাচ্ছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে দাম কম থাকলে বিক্রি বেশি হয় বলে জানান তাঁরা।
বেসরকারি একটি কোম্পানির বিপণন কর্মকর্তা শরিফ হোসেন বলেন, ‘চাকরির কারণে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকতে হয়। গরমে ডাবের পানি পান করলে প্রশান্তি পাই। তবে ডাবের যে দাম, এত টাকা দিয়ে কিনে খাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’
রিকশাচালক জহির আলী বলেন, ‘গরমের মইদ্যে রিকশা চালাই। ডাব খাইলে ভালো লাগে। রিকশা চালিয়ে ১০০ টেহা দিয়ে ডাব কিনা খাইলে, সংসার চালামু কেমনে। তাই ডাব খাই না, আমগো মতো গরিবেরা ডাব খাইতে পারব না। দাম কমলে আবার ডাব খামু।’