সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গায় দেড় শ বছরে পুরোনো কালীমন্দির অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিবছর কালীপূজার দিনে পাঁচ-সাত শতাধিক ভক্তের জমায়েত হয় এখানে। মন্দিরটি সংস্কারে সরকারি বরাদ্দের দাবি করেছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাশিয়াডাঙ্গা বাজারে অবস্থিত মন্দিরটির একপাশে মসজিদ আর অন্যপাশে মাদ্রাসা। প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের অমাবস্যা তিথিতে এখানে কালীপূজা হয়। দেড় শতাধিক পরিবার আর্থিক সহায়তা দিয়ে এ পূজায় অংশ নেয়।
মন্দির কমিটির সভাপতি সুদেপ তরফদার বলেন, ‘আমাদের পূর্ব পুরুষ স্বর্গীয় বিহারি তরফদার, বিরেশ্বর মণ্ডল এবং হারান বারিক প্রায় দেড় শ বছর আগে কাশিয়াডাঙ্গার এ কালীমন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকেই পূজা-অর্চনা হয়ে আসছে এ মন্দিরে।’
সুদেপ তরফদার আরও বলেন, ‘বছর দশেক আগে স্থানীয় সাংসদ কিছু অর্থ বরাদ্দ দেন। সেই অর্থ দিয়ে সংস্কার করা হয় মন্দিরের বেদি। কিন্তু বর্তমানে অর্থাভাবে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে মন্দিরের বেদি। সেখানে পশু-পাখিরা অবাধ বিচরণ করছে।’
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিধান মণ্ডল বলেন, ‘আমি প্রায় ১ যুগ ধরে মন্দির কমিটির দায়িত্ব পালন করে আসছি। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় প্রতিবছর কালীপূজা করে আসছি। বর্তমানে মন্দিরটিতে একটি ছাউনি ও লোহার গ্রিল নির্মাণ করা একান্ত জরুরি। আমরা বারবার সংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়ে তেমন কিছুই পাইনি। একটু সরকারি অনুদান পেলে মন্দিরটি পুনঃনির্মাণ করা সম্ভব হতো বলে জানান তিনি।’
খলিশখালি পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মুখার্জি চাঁদু বলেন, ‘কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের দলিত সম্প্রদায়ের মন্দিরটি অনেক পুরোনো বলে শুনেছি। প্রতিবছর তাঁদের এই পূজাতে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে শত শত ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে সেখানে। সরকারি অনুদান পেলে অরক্ষিত মন্দিরটি আবার সংস্কার করা সম্ভব হতো।’
এ বিষয়ে তালা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, ‘মন্দিরের বিষয়টি শুনেছি। তবে বর্তমানে কোনো বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হবে।’