সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত লালাদীঘির চারদিকে বেষ্টনী চান না এলাকাবাসী। বেস্টনী না দেওয়ার দাবি জানিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন তাঁরা। গতকাল মেয়রের কাছে এই স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
স্মারকলিপিতে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত লালাদীঘি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন একমাত্র বৃহৎ দীঘি। এই দীঘিতে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ অব্যাহত আছে এবং দীঘির জল বিভিন্ন কাজে আমরা ব্যবহার করে আসছি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, সিলেট সিটি করপোরেশন দীঘির চারদিকে এস এস পাইপ দ্বারা বেষ্টনী ও সজ্জিতকরণের পরিকল্পনা করেছে। উল্লেখ্য, দীঘির পার একটি আবাসিক এলাকা। এখানে দুটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসা আছে। দীঘির চারপাশে এস এস পাইপের বেষ্টনী ও সজ্জিতকরণ হলে পার্শ্ববর্তী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ ঘটতে পারে। এর ফলে পর্দাশীল নারী এবং মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্র, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিসহ এলাকাবাসী বিভিন্ন সমস্যায় পড়বে। সেই সঙ্গে সামাজিক অবক্ষয় ঘটবে, বখাটেদের জন্য আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এবং দীঘির চারদিকে বেষ্টনী হলে বৃহৎ আকার দীঘি হওয়ার কারণে বৃহৎ টানা জাল দ্বারা মাছ উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হবে। মাছের পরিচর্যা, পানি দূষণ রোধ এবং মাছ চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিধায় দীঘির চারদিকে এস এস পাইপ অথবা যে কোনো ধরনের স্থাপনা দ্বারা বেষ্টনী নির্মাণ না করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
স্মারকলিপিতে এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন মো. ইমাদ মিয়া, মো. আব্দুল মজিদ টিয়া মিয়া, মো. খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ননী গোপাল সিং, মো. সেলিম আহমদ, আজাদ, রুমন, আরমান, প্রবীণ সিংহ, স্বপন দে, মান্নান, অভিজিৎ সিংহ, বাপ্পু প্রমুখ।