চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারীতে গৃহবধূ লতিকা হালদারের (৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। লতিকার ভাই সবুজ হালদার বাদী হয়ে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে সবুজ হালদারের আইনজীবী প্রতাব মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় স্বামী কানাই লালকে প্রধান আসামি এবং তাঁর বাবা-মা ও এক প্রতিবেশীসহ মোট চারজনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে লতিকার সঙ্গে কানাই লাল মজুমদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অজুহাতে কানাই লাল এ পর্যন্ত লতিকার বাবা যশমন্ত হালদারের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। গত কয়েক দিন আগে কানাই মাইক্রোবাস কেনার জন্য আরও দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এ টাকা নিতে লতিকা বাবার বাড়িতে আসে। তাঁকে একসঙ্গে এত টাকা দিতে পারেননি তাঁর বাবা। ১৫ হাজার টাকা দিয়েছিল। বলেছিল জমি বিক্রি করে পরে দেবে। এরপর লতিকা ১৫ হাজার টাকা নিয়েই শ্বশুরবাড়ি ফিরে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে কানাই লালসহ আসামিরা তাঁকে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
প্রথমে তাঁকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেই রাত সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লতিকার মৃত্যু হয়।