নগরীর পতেঙ্গায় তালাক দেওয়া স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে প্রতিবেশী আবু তাহেরের (৪৮), এমন সন্দেহ ছিল আব্দুল জলিলের। সেই ক্ষোভ থেকে সহযোগীদের নিয়ে গত বৃহস্পতিবার তাহেরকে মারধর করেন জলিল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। আবু তাহের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল জলিলকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল আদালতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার জলিল তাঁর সাবেক স্ত্রী রওশন আরার মামাতো ভাই ও মামাতো বোনের স্বামীকে নিয়ে স্টিল মিল এলাকার বাসা থেকে তাহেরকে ডেকে বাইরে এনে মারধর করেন। পরে আহত তাহেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় তাহেরের মেয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। অভিযোগ পেয়ে শুক্রবারই নোয়াখালীর কিল্লার হাট থেকে জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কবির হোসেন বলেন, জলিলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রওশন আরার তালাক হয়েছিল। এর পর থেকে রওশন ১২ বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে স্টিল এলাকায় থাকেন। আর জলিল নোয়াখালীতে থাকেন। রওশন আরার পাশের বাসায় থাকতেন তাহের। তিনি নানা কাজে রওশন আরাকে সহযোগিতা করতেন। এ নিয়ে জলিলের সন্দেহ হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা কবির আরও বলেন, তালাক হয়ে যাওয়ার পরও জলিল রওশন আরার সঙ্গে আবার সংসার করতে চাইছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর রওশন আরার বাসায় যান তিনি। পরদিন সকালে জলিল বাসা থেকে বের হওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যান রওশন।