নওগাঁর মহাদেবপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে শিউলি আক্তার নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাচারিপাড়া বেড়িবাঁধসংলগ্ন রবিউল আলম লিটনের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
শিউলি আক্তার পার্শ্ববর্তী পত্নীতলা উপজেলার খিরসিন গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী আল-আমিন আত্মগোপনে রয়েছেন। আল-আমিন সাপাহার উপজেলার জিরোপয়েন্ট এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে মহাদেবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের কাচারিপাড়া বেড়িবাঁধসংলগ্ন রবিউল আলমের বাড়ি ভাড়া নেন। সেখানে তিনি তাঁর স্ত্রী শিউলি আক্তার ও আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। তিনি মহাদেবপুর বাজারে দরজির কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটির কান্নার শব্দ শুনতে পান পাশের বাসার লোকজন। পরে সেখানে গিয়ে ঘরের দরজায় তালা ঝুলতে দেখেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা ডাকাডাকি করলেও শিশুর কান্নার শব্দ ছাড়া ভেতর থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে থানা-পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, তারা ঘরের তালা ভেঙে খাটের ওপর শিউলির লাশ দেখতে পায়। এ সময় শিশুটি তাঁর মায়ের পাশে বসে কান্না করছিল।
মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালাবদ্ধ ঘরের দরজা ভেঙে শিউলি আক্তার নামের ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।