গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের এক এসআইয়ের সহায়তায় কৃষকের ধান লুট নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে অভিযুক্ত এসআই সাইদুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জহুরুলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আসামি গ্রেপ্তারে ব্যস্ত থাকায় ধানগুলো জিম্মায় নেওয়ার সুযোগ হয়নি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিলন কুমার চ্যাটার্জি মামলা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এতে ১৪ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাত পরিচয়ে ৫ / ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর ভুক্তভোগী কৃষক সাপমারা ইউনিয়নের দুধিয়া ও মাল্লা মৌজার ৭০ শতক জমির ‘স্বর্ণা-৫’ জাতের ধান কেটে জমিতে রাখেন। পরে ২২ নভেম্বর ওই ধান একই গ্রামের শাহিন মিয়া ও তার লোকজন জমি থেকে লুট করে নিয়ে যায়। এতে তাঁদের বাধা দিতে গেলে কৃষক জহুরুলকে গ্রেপ্তার করে বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাইদুর রহমান। এই সুযোগে জমির সমস্ত ধান প্রতিপক্ষের লোকজন লুট করে নিয়ে যায়।
কৃষক জহুরুলের অভিযোগ, ওই এসআই প্রভাবিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে প্রতিপক্ষকে জমিতে কেটে রাখা ধান লুট করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা চোখে দেখে অভিযোগ এফআইআর করে থাকেন। কেউ ভুল করলে তার দায়ভার তাঁকেই নিতে হবে।