হোম > ছাপা সংস্করণ

তাসকিনদের ভাবনায় এই ‘গ্রিন লাইট’ কী

রানা আব্বাস, কলকাতা থেকে

ব্যাটাররা যেমন ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে প্রতিপক্ষ বোলিং আক্রমণের আত্মবিশ্বাস টলিয়ে দিতে শুরু থেকেই আক্রমণ করেন, একইভাবে বোলারদেরও কৌশল থাকতে হয় শুরু থেকে আক্রমণাত্মক বোলিং করে ব্যাটারদের কাঁপিয়ে দিতে। এই জায়গায় পিছিয়ে থাকছে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ।

গত পাঁচ ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের পেসাররা শিকার করেছেন মাত্র ১ উইকেট। সেটিও সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে। পাওয়ার প্লেতে উইকেটশিকারে সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ পেস আক্রমণ। নিজেদের এই দুর্বলতা চিহ্নিত করে পাওয়ার প্লেতে ভালো বোলিং করতে টিম ম্যানেজমেন্ট তাসকিনদের করণীয় ঠিক করেছে—‘গ্রিন লাইট এরিয়ায় কার্যকর বোলিং’।

গ্রিন লাইট এরিয়ার বিষয়টি নিয়ে এক কোচিং স্টাফ সদস্য গতকাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘দেখুন, প্রায় সব দলই এখানে ৩০০+ বা ৪০০ রানের স্কোর গড়ছে। শুধু আমরাই মার খাচ্ছি, তা নয়। তবু আমাদের উপায় বের করতে হচ্ছে, কীভাবে এখানে আমরা আরও কার্যকর হতে পারি। এ কারণে আমরা গ্রিন লাইট নিয়ে আলোচনা করেছি।

গ্রিন লাইট হচ্ছে পাওয়ার প্লেতে আক্রমণের লাইসেন্স পাওয়া। পাওয়ার প্লেতে আমাদের আক্রমণের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে দেখুন, সর্বশেষ ম্যাচের আগেও টানা তিন ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট ছিল না। এই গ্রিন লাইটটা আমরা কাল ডাচদের বিপক্ষে দেখাতে চাই।’

শুরুতে যদি প্রতিপক্ষের লাগাম টেনে ধরা যায়, তাদের রানপাহাড় গড়া কঠিন। কিন্তু যে পেস বোলিং বিভাগের ওপর ভরসা করে বিশ্বকাপে আসা, সেখানে তারা নিদারুণ ব্যর্থ। এই ব্যর্থতার ব্যাখ্যায় ওই কোচিং স্টাফ সদস্য বললেন, ‘এই বিশ্বকাপে অসাধারণ সব উইকেটে খেলা হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি ভেন্যুতে হয় আমাদের দিয়ে খেলা শুরু হয়েছে বা আমরা গিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ পেয়েছি। কলকাতাতেও তা-ই। শুরুতেই সতেজ উইকেটে খেলা সহজ নয়। কলকাতায় দেখে মনে হচ্ছে মন্থর উইকেট।

আমরা মানিয়ে নেওয়া ও সৃজনশীলনতার ওপর জোর দিচ্ছি। গতির হেরফের, শর্ট বল, ক্রস সিমের ব্যবহার, অ্যাকুরিসি, নাকল বল—যত বৈচিত্র্য আছে, ব্যবহার করব। হ্যাঁ, বিশ্বকাপে আমাদের পেস আক্রমণ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। লম্বা সময় ধরে একটা বিভাগ যেখানে ভালো করেছে, সেটি কদিনের পারফরম্যান্সে ম্লান হয় না। যাহোক, কালকের (আজ) ম্যাচে আমাদের গ্রিন লাইট এরিয়াতে প্রোঅ্যাকটিভ হতে হবে, বিধ্বংসী হতে হবে।’

সেই বিধ্বংসী পারফরম্যান্সে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে তাসকিন আহমেদকে। তিনি গত দুই বছরে বাংলাদেশ পেস বিভাগের উত্থানের অন্যতম নায়ক। কাঁধের চোটে পড়ে গত দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি। চোট কাটিয়ে আজ ডাচদের বিপক্ষে ফেরার কথা তাঁর। গতকাল বাংলাদেশের পেস বিভাগের পারফরম্যান্স নিয়ে তাসকিন বলছিলেন, ‘পেস বোলিং গত কয়েক বছর ভালো করছে। ৫ ম্যাচে আমরা তেমন ভালো করতে পারিনি। পরের ৪ ম্যাচে লক্ষ্য হবে, যা করেছি তার থেকে আরও উন্নতি কীভাবে করা যায়। আমরা ভালো না করলে জেতাও কঠিন।’

বোলাররা একটা ম্যাচেই অসাধারণ করেছেন। আর সে ম্যাচটাই বাংলাদেশ জিতেছে। তাসকিনের উপলব্ধি যথার্থ, বোলাররা ভালো না করলে বাংলাদেশের জেতা কঠিন।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন