চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মেয়ের বিয়ের দিন খুন হয়েছেন বাবলুর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাসপুর গ্রামে হত্যার এ ঘটনা ঘটে। বাবলুর ওই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জমির উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল বাবলুর মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। সকালে প্রতিবেশীর বাড়িতে দাওয়াত দেওয়ার জন্য তিনি রাস্তায় বের হলে প্রতিবেশী জমির পেছন থেকে কোদাল দিয়ে মাথায় কোপ মারেন। এ সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বাবলুর। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাকবির হাসান বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বাবলুর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বাবলুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জমির বদমেজাজি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে খুবই কম কথা বলতেন। প্রায়ই এলাকার মানুষের সঙ্গে তিনি ঝামেলায় জড়াতেন। কারও ওপর রাগ হলে মারধর করতেন। তিনি কিছুটা মানসিকভাবেও অসুস্থ ছিলেন।
বাবলুর মেয়ে বলেন, ‘জমিরের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ ছিল না। আমাদের সব শেষ হয়ে গেল। কেন জমির বাবাকে হত্যা করল, জানি না। আমরা জমিরের ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন বাদী হয়ে জমির উদ্দিনের নামে মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।