বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় করোনার টিকা দিতে টাকা নেওয়ার অভিযোগে দুজন স্বাস্থ্যসহকারীকে বদলি করেছেন কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়া সিভিল সার্জন অফিস থেকে এই নির্দেশনা আসে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। এদিকে, আরও এক স্বাস্থ্যসহকারীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ থাকলেও তাঁকে শোকজ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
বদলি হওয়া স্বাস্থ্যসহকারীরা হলেন সেলিমুজ্জামান সেলিম এবং আবু বকর। সেলিমুজ্জামান সেলিমকে বগুড়া সোনাতলা উপজেলায় এবং আবু বকরকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় বদলি করা হয়।
জানা গেছে, ৭ জুন আড়িয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে করোনা টিকা দান চলাকালে টিকা নিতে আসা মানুষদের থেকে সেলিমুজ্জামান সেলিম ও আবু বকর টাকা নেন। ওই দিন আরেক স্বাস্থ্যসহকারী মনিরুল ইসলাম মানিক আড়িয়া ইউনিয়নের মানিকদ্বীপা এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকে (সিসি) করোনা টিকা দেওয়ার সময় মানুষদের কাছ থেকে টাকা নেন।
এরপর বিষয়টি নিয়ে টিকা নিতে আসা একজন বগুড়া সিভিল সার্জনকে জানান। পরে সেলিমুজ্জামান সেলিম ও আবু বকরকে টাকা ফেরত দিতে বলার পাশাপাশি, সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন এ নির্দেশ দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্বাস্থ্যসহকারী জানান, চার মাসের বেশি সময় ধরে সেলিম, বকর এবং মানিক করোনার টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের থেকে টাকা নিতেন। তবে মানিককে শোকজ করা হয়নি।
আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ‘টিকা দেওয়ার সময় মনিরুল ইসলাম মানিক টাকা নিতেন। এ নিয়ে গ্রামের মানুষ আমাকে জানানোর পরে ওই স্বাস্থ্যসহকারীকে সমস্ত টাকা ফেরত দিতে বলেছি।’
স্বাস্থ্যসহকারী মনিরুল ইসলাম মানিক মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে শোকজ করা হয়নি। আমি টাকা নেই নাই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোতারাব হোসেন জানান, টাকা নেওয়ার ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন বগুড়া সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছিল। তদন্তের সাপেক্ষে দুজন স্বাস্থ্যসহকারীকে বদলি করেছেন সিভিল সার্জন।