বদরগঞ্জে হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করার জন্য স্থানীয়ভাবে বাজার বসানোর দাবি জানানো হয়েছে। গত বুধবার প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপজেলার আমচাষিরা এই দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউএনও আবু সাঈদ সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি সুইট, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আজমল হোসেন রতন, আমচাষি আব্দুর রউফ, আবু তালহা, এমদাদুল হক আমিন প্রমুখ।
কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, বদরগঞ্জে ৮৫৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে হাঁড়িভাঙা আম। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ১০ মেট্রিক টন।
মতবিনিময় সভায় আমচাষি আব্দুর রউফ বলেন, বদরগঞ্জে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আম চাষ হয়। কিন্তু এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে আম বিক্রির বাজার নেই। এ কারণে পাশের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হয়। এতে সময় ও ভাড়া বেশি লাগে। এ উপজেলায় হাঁড়িভাঙা আমের চাষ বেশি হলেও প্রচারের অভাবে বাইর থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আম কিনতে আসেন না। এ কারণে চাষিরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে সভায় ইউএনও আবু সাঈদ জানান, প্রচার চালাতে যা যা করা লাগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করা হবে। স্থানীয়ভাবে কোথায় আমের বাজার বসানো যায় তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমের বাজার বসানো হবে, যাতে চাষিরা ন্যায্য দামে আম বিক্রি করতে পারেন।
আম ১৫ জুনের পর বাজারে আসবে। এর আগে বেশি লাভের আশায় আমে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়ে ইউএনও বলেন, ‘যদি কোনো আমচাষির বিরুদ্ধে আম পাকাতে মেডিসিন ব্যবহারের অভিযোগ আসে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি বলেন, ‘হাঁড়িভাঙা আম উৎপাদনের দিক দিয়ে মিঠাপুকুর উপজেলার পর আমাদের উপজেলা। কেউ কেউ বেশি লাভের আশায় গাছেই মেডিসিন ব্যবহার করে থাকেন, যা ক্ষতিকর। মেডিসিনের খারাপ দিক তুলে ধরতে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমচাষিদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামীতে আম চাষের জন্য কৃষকদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’