ঝিনাইদহের শৈলকুপার সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দলিল লেখকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। গত রোববার শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি গতকাল সোমবারও অব্যাহত ছিল। তাতে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে দলিলের কমিশন হিসেবে অতিরিক্ত ফি দাবি, দলিল রেজিস্ট্রির সময় নানা অজুহাতে দলিলপ্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিলম্বে অফিসে আসাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত রোববার থেকে এ কর্মবিরতি চলছে।
শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দলিল লেখক আক্তারুজ্জামান বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদার শৈলকুপায় যোগদানের পর থেকে তাঁরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। উপজেলার মধ্যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তির দলিল রেজিস্ট্রি করতে গেলে দলিল কমিশন হিসেবে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা নেওয়ার বিধান। কিন্তু তিনি প্রতি দলিলে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন।
আক্তারুজ্জামান আরও বলেন, প্রতিদিন অফিসে যে দলিল রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে, তাতে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সেখানে প্রতি দলিলে তিনি ৫০০ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত টাকা দাবি করেন। এ ছাড়া প্রতিদিন তিনি দুপুর ১২টার আগে অফিসে আসেন না।
এদিকে দলিল লেখকদের কর্মবিরতির কারণে জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা লোকজনকে দু্র্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গতকাল সোমবার জমি রেজিস্ট্রি করতে আসা উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামের আবদুল করিম বলেন, তিনি অফিসে এসে দেখেন দলিল লেখকদের কর্মবিরতি চলছে। জমি রেজিস্ট্রি করতে না পারায় তাঁরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
উপজেলার হরিহরা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত সপ্তাহে দলিল রেজিস্ট্রি করতে এসেছিলাম। বসে থাকতে থাকতে সাব-রেজিস্ট্রার এলেন দুপুর ১২টার পর।’
তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার ইয়াসমিন শিকদার বলেন, দলিল লেখকেরা তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন, এটা তাঁদের মনগড়া। তিনি সরকারি নিয়মের বাইরে কোনো দলিল রেজিস্ট্রি করেন না। অফিসে বিলম্বে আসা তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে বলে তিনি দাবি করেন।
দলিল লেখকদের কর্মবিরতি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বনি আমিন জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন।