মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
রমজানের রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এ ফরজ ইবাদত পালনকারীদের জন্য আল্লাহ তাআলা অনন্য পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। নিচে কয়েকটি পুরস্কারের বিবরণ তুলে ধরা হলো—
এক. রোজাদারের অতীতের গুনাহ মুছে দেওয়া হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি)
দুই. রোজাদার অসংখ্য সওয়াবের অধিকারী হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের সওয়াব দশ গুণ থেকে সাত শ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। তবে রোজার সওয়াব প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন—একমাত্র রোজা ব্যতীত। কারণ রোজা যেহেতু একমাত্র আমার জন্যই হয়ে থাকে, তাই আমিই তার প্রতিদান দেব। আর রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আমার কাছে মৃগনাভির সুঘ্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়।’ (মুসলিম)
তিন. রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘রমজানের রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার ঢাল। যুদ্ধের ময়দানে ঢাল যেভাবে শত্রুদের আক্রমণ থেকে তোমাদের রক্ষা করে, তেমনি রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে তোমাদের রক্ষা করবে—যদি পরচর্চা-পরনিন্দার মাধ্যমে সে ঢাল ছিন্ন করা না হয়।’ (বুখারি)
চার. রোজাদারের দোয়া কবুল হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন শ্রেণির লোকের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। ইফতার করার আগ পর্যন্ত রোজাদারের দোয়া, সাহায্যপ্রাপ্ত না হওয়ার আগ পর্যন্ত মজলুমের দোয়া, এবং সফর থেকে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত মুসাফিরের দোয়া।’ (তিরমিজি)
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক