হোম > ছাপা সংস্করণ

পানির নিচে আমনের জমি

খান রফিক (বরিশাল) ও মীর মো. মহিব্বুল্লাহ (পটুয়াখালী)

লঘুচাপের প্রভাবে বরিশালে তলিয়ে গেছে ফসলের খেত। বিশেষ করে সদ্য রোপণ করা আমনখেতের বড় অংশ এখন পানির নিচে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১৫-১৬ শতাংশ জমিতে ইতিমধ্যে আমন চাষ করা হয়েছে। সবই এখন পানির নিচে। আবহাওয়া অফিসের আশঙ্কা, লঘুচাপের প্রভাবে এই অঞ্চলে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় পানি বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে পূর্ণিমা জো এবং সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে জোয়ারে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ও কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের দুটি বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে অন্তত ১৪টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। গত বুধবার থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত জোয়ারের এ পানির সঙ্গে যুদ্ধ করছে উপকূলের মানুষ।

বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং পূর্ণিমার জো-এর কারণে কয়েক দিন ধরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি এই অঞ্চলে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার আ. রহিম বলেন, ‘বরিশালের সব কটি নদীর পানি কয়েক দিন ধরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে নগরসহ জেলার ১০ উপজেলার ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় আমন আবাদ ব্যাহত হতে পারে।’

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা গাজী জালাল জানান, জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বরিশালের ১০ উপজেলায় ২০ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। গড়ে ১৫-১৬ ভাগ জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। লঘুচাপ এবং পূর্ণিমার জো-এর কারণে যে বৃষ্টিপাত ও পানি বেড়েছে, তা অব্যাহত থাকলে আমন আবাদে প্রভাব পড়তে পারে।’

বাকেরগঞ্জের দাড়িয়াল গ্রামের চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৪০ শতাংশ জমিতে আমন আবাদ করব। ১৫ শতাংশে বীজ রোপণ করলেও তা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এ পানি না নামলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।’

সদর উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘এখন আমন রোপণের সময়। কিন্তু খেতে যে পানি উঠছে তা নামতে ১২-১২ দিন সময় লাগবে।’

এ প্রসঙ্গে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, ‘ভরা এই বর্ষায় অনেক বৃষ্টি হতো। কিন্তু এখন বৃষ্টির সময় খরা, আর যখন বৃষ্টি শেষ হবে তখন অঝোরে বৃষ্টি। এটি জলবায়ুর প্রভাব। এই প্রভাব পড়ছে ফসলে। নদীর গভীরতা কমায় খেতে পানি ঢুকে যাওয়ায় এবার আমন ধানের ফলন কমতে পারে। এমনকি অসময়ে বন্যাও হতে পারে।’

বরিশাল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ জানান, পানি আরও বাড়লে আমনের বীজ বপনে কি করা দরকার তা নিয়ে তাঁরা কৃষককে পরামর্শ দেবেন। তবে তিনি মনে করেন, আমনের বীজ রোপণে এখনো সময় আছে।

এদিকে, পটুয়াখালীতে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত গ্রামগুলো হচ্ছে রাঙ্গাবালীর মধ্য চালিতাবুনিয়া, গরুভাঙ্গা, চিনাবুনিয়া, চর আন্ডা এবং ছোট বাইশদিয়ার কোড়ালিয়ার লঞ্চ ঘাট এবং কলাপাড়ার চান্দুপাড়া, বুড়োজালিয়া, মুন্সিপাড়া, মঞ্জুপাড়া, নাওয়াপাড়া, চাড়িপাড়া, বানাতিপাড়া, পশুরবুনিয়া ও হাসনাপাড়া গ্রাম।

স্থানীয়রা জানান, পানিতে দুই শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় ২১ লাখ টাকার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। রাঙ্গাবালীর উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামের কবির হোসেন বলেন, ‘ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত ৫টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে ঘরবাড়িসহ পুকুর ও আমন খেতে।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন