৭০ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো কূলকিনারা হয়নি। বরং ক্রমশ কোণঠাসা হয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের আচরণকে ‘বর্ণবাদ’ আখ্যা দিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদনটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদেরা। এটি বের হওয়ার একদিনের মাথায় জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দলের প্রতিনিধি পরিষদের নয়জন মধ্যমপন্থী সদস্য প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের একজন ডেবি ওয়াসারম্যান শলৎজ। ডেমোক্র্যাট ন্যাশনাল কমিটির এ প্রধান প্রতিবেদনটি ‘ভিত্তিহীন’, ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং ‘ইহুদিবিদ্বেষে’ ভরা বলে মন্তব্য করেছেন।
ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের মিথ্যা গল্প নিয়ে অ্যামনেস্টি নিয়মিতভাবে ইসরায়েলবিরোধী প্রতিবেদন বের করে বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রিপাবলিক দলের কংগ্রেসম্যান লি জেলদিন। বিশ্বব্যাপী ইহুদিবিদ্বেষ ছড়াতে সংস্থাটি উঠেপড়ে লেগেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বের হওয়ার আগেই প্রতিবেদনটি ‘মিথ্যা, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে কী আছে
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইসরায়েল এমন সব আইন বানিয়েছে, যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ওপর পদ্ধতিগতভাবে নিপীড়ন চালানো যায়। ইসরায়েলে বসবাসরত ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অংশে এসব ব্যবস্থা চালু আছে। যার ফলে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
বর্ণবাদ বা অ্যাপার্টাইড শব্দটা ব্যবহার করার ব্যাখ্যায় অ্যামনেস্টি জানায়, ১৯৪৮-৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে বিরাজমান বর্ণগত বৈষম্যকে বোঝাতে অ্যাপার্টাইড শব্দটি ব্যবহার করা হয়। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের আইনগত নিপীড়ন ঠিক সেই প্রকারের না হলেও, দুটির মর্ম বা ফল প্রায় অভিন্ন।