হোম > ছাপা সংস্করণ

ঘাঘট নদের বালু লুট রাজনৈতিক পরিচয়ে

আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া (রংপুর)

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে ঘাঘট নদের বালু লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ দিকে বালু লুটের ফলে নদটির ভাঙনের কবলে পড়ছে কৃষিজমি। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে আলমবিদিতর ইউনিয়নের পূর্ব মেছনিকুন্ডা আবাসন।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে দেদার চলছে ঘাঘট নদের বালু উত্তোলন। বালু উত্তোলনের ফলে নদীভাঙন দেখা দেয়। এসব এলাকার বাসিন্দা এবং কৃষকেরা নদীভাঙনের কবলে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।

সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। দেখা গেছে, উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি বাজার এলাকার সেতু থেকে দক্ষিণে গঙ্গাচড়া উপজেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঘাঘট নদের দুপাশে ধারাবাহিকভাবে অর্ধশতাধিক স্থানে অবৈধ খননযন্ত্র (ড্রেজার মেশিন) বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলনের কর্মকাণ্ড। মেছনিকুন্ডা আবাসন এলাকায় বালু উত্তোলনের স্থানে দেখা হয়, লাভলু মিয়া ও রফিক মিয়া নামের দুই ব্যক্তির সঙ্গে। তাঁরা নিজেদের স্বেচ্ছাসেবক দলের লোক বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আমরা স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল মিলে এসব বালুর ব্যবসা করতেছি। কোনো সমস্যা নাই। এখন আমরাই তো সর্বেসর্বা।’ এ সময় ড্রেজার মেশিনের মালিক রিপন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানুষ বাড়ি করবে এ জন্যই একটু বালু তোলা হচ্ছে।আমাদের সামনে ও পেছনে ৫-৬টা মেশিন লাগিয়ে বালু তুলছেন বালু ব্যবসায়ী হামিদুল। কয়েক দিন আগে কবরের কথা বলে প্রায় ১ লাখ টাকার বালু বিক্রি করেছেন। তাঁর বাড়ির পেছনে এখনো মেশিন লাগানো আছে। এখানের বড় ব্যবসায়ী হচ্ছেন হামিদুল।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদুল বলেন, ‘আমার বাড়ি ভাঙতে ধরছিল, এ জন্য ইউএনও স্যার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে আমাকে ৭০০ জিও ব্যাগ দেওয়া হয়েছিল। এসব জিও ব্যাগ ভর্তি করার জন্য ঘাঘট থেকে বালু তুলেছি, আর কিছু বালু বিক্রি করছি।’ 

বড়াইবাড়ী এলাকার বাসিন্দা কৃষক লাভলু বলেন, ‘আমার প্রায় ১৫০ শতকের মাটি ঘাঘটে ভেঙে গেছে। সরকার পতনের পর আরও অনেক কয়টা নতুন বালু ব্যবসায়ী তৈরি হইছে।’

রংপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা বলেন, ‘কেউ যদি দলের নাম ভাঙিয়ে এ ধরনের অপকর্ম করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁকে সেখানে আটকে রেখে আমাকে কল করবেন। আমি নিজেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করব।’

গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রঞ্জু মিয়া বলেন, ‘রফিক আমাদের দলের ছেলে। তবে দলের পরিচয় দিয়ে যদি কোথাও কোনো অপকর্ম করে থাকেন, সঠিক প্রমাণ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেছেন, উপজেলা প্রশাসন ও পাউবো থেকে কোনো ব্যক্তিকে ৭০০ জিও ব্যাগ দেওয়া হয়নি। ঘাঘটসহ অন্য নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন