ত্রিশাল প্রতিনিধি
বর্ষার আগাম বার্তা জানান দিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আর নতুন পানি পেয়ে শুরু হয়েছে ব্যাঙের হাঁকডাক। বর্ষাকাল আসতে এখনো মাস দেড়েক বাকি। দীর্ঘদিন বৃষ্টিশূন্য থাকলেও ত্রিশালে এক দিনের মুষলধারে বৃষ্টির পর ব্যাঙের মধ্যে যেন বইছে আনন্দের বন্যা।
বৃষ্টির নতুন পানিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাধারে দেখা যায় ব্যাঙের মিলনমেলা। নানা রঙের ব্যাঙের ডাকে মুখরিত চারদিক। তবে এখনকার সময়ে গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙের এমন দৃশ্য আর ডাকাডাকি তেমন চোখে পড়ে না।
গত শুক্রবার পৌর শহরের পশু হাসপাতাল সংলগ্ন খালি পড়ে খোলা জায়গায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে জড়ো হয় অসংখ্য ব্যাঙ। ব্যাঙের এমন মিলনমেলা দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। অল্প জায়গায় ব্যাঙেরা গ্যাঙরগ্যাঙ শব্দে মুখরিত করে তোলে।
পৌর শহরের বাসিন্দারা জানান, এমন দৃশ্য আগে নিয়মিত দেখা যেত। এখন ব্যাঙই ঠিকমতো দেখা যায় না। অনেক দিন পরে ব্যাঙের মেলা আর ডাকাডাকিতে প্রকৃতির আবহমান রূপের দেখা মিলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জিম্মান বলেন, ‘আমরা কয়েকজন বৃষ্টির পানি জমে থাকা পতিত জমির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। এমন সময় একসঙ্গে অনেকগুলো ব্যাঙ দেখতে পাই। অল্প জায়গায় একসঙ্গে এত ব্যাঙ আগে কখনো দেখিনি। ব্যাঙের ডাক শুনে আশপাশের অনেকেই এ দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান।’
ত্রিশাল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এখন অনেক ধরনের ব্যাঙ দেখা যায় না, বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একসঙ্গে এত ব্যাঙ এখন আর দেখা যায় না। বৃষ্টির সময় ব্যাঙের প্রজনন মৌসুম। রঙিন ব্যাঙগুলোর নাম সোনা ব্যাঙ। হলুদ রঙের ব্যাঙগুলো পুরুষ আর সবুজ রঙের ব্যাঙগুলো মেয়ে ব্যাঙ। পুরুষ ব্যাঙগুলোই ডাকাডাকি করে।’