মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে নেই জেব্রাক্রসিং, নেই পদচারী-সেতু (ফুটওভারব্রিজ)। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা। এতে কখনো মানুষ প্রাণে মারা যাচ্ছেন, কখনো বরণ করছেন পঙ্গুত্ব। ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে পথচারীদের নিরাপদে পারাপার ও সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে ফুটওভারব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা।
স্কুলছাত্র কাওছার হোসেন আর একটু হলেই এ সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ত। ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাস্তা পার হতে চাচ্ছিল সে। দ্রুত গতিতে ছুটে আসা প্রাইভেট কারটির ড্রাইভার জোরে ব্রেক কষায় বেঁচে যায় সে। কিন্তু আজ না হয় বাঁচা গেল, কাল! তাকে প্রতিদিনই এভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয়।
এ রকম নানা পেশা ও বয়সের হাজার হাজার মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়ক হেঁটে পার হন। এ এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় পথচারীদের নিরাপদ চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে।
সাহানাজ আক্তার শাম্মী নামের এক পথচারী বলেন, ‘প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হতে হচ্ছে আমাদের। একটি ফুটওভারব্রিজ থাকলে আমাদের চলাচলের সুবিধা হতো। আমরা শঙ্কা মুক্তভাবে মহাসড়ক পার হতে পারতাম।’
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলার জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এরই মধ্যে জামালদি ও বাউশিয়া পাখির মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ। তবে অদৃশ্য কারণে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড ও ভাটেরচর বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভারব্রিজ নির্মাণে কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।
গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়া অংশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড। ব্যস্ততম এই স্থান দিয়ে প্রতিদিন লক্ষাধিক লোক যাতায়াত করছেন। এ স্থানে একটি ফুটওভারব্রিজ দরকার।
এ বিষয়ে গজারিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজালাল মিয়া জানান, মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ১৩ কিলোমিটার জায়গায় ১৩টি অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান রয়েছে। এর মধ্যে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকাটি অতি দুর্ঘটনা প্রবণ।