Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

এবারও ‘বঞ্চিত’ সিসিক মেয়র

ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

এবারও ‘বঞ্চিত’ সিসিক মেয়র

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে দেওয়া হয়েছে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা।

কিন্তু সিলেট সিটি করপোরেশনে  টানা দুবারের নির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবারও বঞ্চিত রয়ে গেলেন। তাঁকে মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হলো না এবারও। বিষয়টি নিয়ে সিলেটের বিভিন্ন মহলে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

অনেকে বলছেন, সম্প্রতি সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় মেয়র আরিফের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন, সিলেটের মেয়র তো ভালো। ও তো ভালো কাজ করছে।

সরকারপ্রধানের এমন বক্তব্যের পরও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা না দেওয়ায় সিলেটের সচেতন মহলের অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। যাঁরা ঘোষণা করেছেন তাঁরাও জনপ্রতিনিধি। যাঁদের দেওয়া হয়েছে তাঁরাও জনপ্রতিনিধি। তবে এখানে ন্যায় বিচারটা প্রতিষ্ঠিত হওয়া উচিত ছিল। স্বচ্ছতা আনা দরকার ছিল। সরকারের নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত এই কাজে আমরা নাগরিক সমাজ গভীর মর্মাহত।’

সংক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ সিলেটের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, সিলেট সিটির মেয়রকে এই মর্যাদা না দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। এটা খুবই দুঃখজনক। মেয়র আরিফ বিরোধী দলীয় হওয়ায় এমনটা করা হয়েছে। এতে সরকারের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

২০১৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো আরিফুল হক চৌধুরী সিসিক মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ১০ মাসের মাথায় রাজশাহীর মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও খুলনার মেয়র তালুকদার আবদুল খালেককে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা এবং ঢাকা উত্তর সিটি উপনির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে দেওয়া হয় পূর্ণ মন্ত্রীর পদমর্যাদা। ওই সময়ও সিসিক মেয়রকে এমন কোনো পদমর্যাদা দেওয়া হয়নি।

প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমি তো মন্ত্রী হওয়ার জোকা নায়, আমারে মানশে মেয়র বানাইছে মেয়র ওঔ থাকি। এ ব্যাপারে আমার কোনো ফিলিংস ওঔ নাই। কারণ, এটা অ্যাপসুলেটলি আলাদা সরখারের ইচ্ছা, অনিচ্ছার ব্যাপার। সরখারি দল যারা খরের তারা ফাইছে।

বাছ শেষ। সিলেটরে আগেও দেওয়া ওইছে। ইমর্যাদা তো সিলেটর। ইটাতো রংপুর, খুলনা, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ ও চিটাগাংও পাইছে। ইতা অ্যাপসুলেটলি সরখারের ব্যাপার।’
মেয়র বলেন, ‘আমি তো আর সরকারি দল থেকে নির্বাচিত হইনি। আমাকে কেন দেবে? জনগণ আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছে। আমি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতেছি। আর এটি একটি মর্যাদার ব্যাপার ছিল। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের আমলে অন্যান্য মেয়রদের সঙ্গে সিসিকের তৎকালীন মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সাহেবকেও এই মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এই মর্যাদার বিষয়টি সিলেটবাসী বা সিলেটের জনগণের, এটা আমি ব্যক্তি আরিফের কোনো বিষয় না। সিসিক সিলেটের জনগণের প্রতিষ্ঠান। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ