Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

রোগীর শয্যায় বিড়াল ছানা

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

রোগীর শয্যায় বিড়াল ছানা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার প্রায় ছয় লাখ মানুষের চিকিৎসার জন্য পৌরশহরের কাওয়াকে অবস্থিত ৩০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল। এই হাসপাতালে সরবরাহকৃত খাবারের মান ও পরিবেশ নিয়ে রোগীদের রয়েছে নানা অভিযোগ। এ ছাড়া হাসপাতালের শয্যার ওপর বিড়াল ছানাদের শুয়ে থাকতে দেখা যায়। মনে হয় এ যেন বিড়ালের সঙ্গেই রোগীদের বসবাস।

আর রোগীর পরিবর্তে চিকিৎসকের চেম্বারে বেশি সময় দেখা যায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের। তাঁদের দৌরাত্ম্যে অসহায় হয়ে পড়েছেন রোগীরা। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগী।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাবারের সন্ধানে হাসপাতালে বিড়াল আসে। আর ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের নির্ধারিত সময়ে আসতে বলা হলেও তাঁরা সেটি মানছেন না।

চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের পরিবেশের ওপর অনেক সময় রোগী সুস্থতা বোধ করে। এমনকি হাসপাতালে প্রথমেই ঢুকে দেখি রোগীর বেডের ওপর অনেকগুলো বিড়াল ছানা শুয়ে আছে।’ এসব বিড়াল যদি রোগীদের খাবারে মুখ দেয়, আর সেই খাবার রোগীরা না দেখে খেয়ে ফেলে, তাহলে নানা রোগ হতে পারে।’

হাসপাতালে প্রবেশের সময় মূল ফটকেই দেখা মেলে অসংখ্য ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের। তাঁদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তার ভিজিট করে এসে এই হাসপাতালের মাঠে ফাঁকা জায়গায় বসে সময় কাটান। তবে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে দেখা যায় নিয়মনীতির উপেক্ষা করে চিকিৎসকের চেম্বার থেকে এক প্রতিনিধি বের হয়ে আসছেন। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান।

হাসপাতালে ভর্তি রজব আলী জানান, তাঁরা ঠিক সময়ে খাবার পান না। সকালে এক প্যাকেট বিস্কুট আর একটা ডিম দেওয়া হয়। আর যে পরিমাণে খাবার দেওয়া হয়, তা অনেকের কাছে পর্যাপ্ত না। এ জন্য অনেক সময় বাইরে থেকে খাবার কিনতে হয়। প্রায় তিন মাস এ সমস্যা চলছে।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া সদর ৩০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ফিরোজ তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীদের খাবার পরিবেশন নিয়ে আমি ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছি; দ্রুত সমাধান করা হবে।’

হাসপাতালে রোগীর বেডে বিড়ালের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে খাবার থাকার কারণেই বিড়াল আসে। আর ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের এর আগেও লিখিতভাবে বলা হয়েছে যে, অফিস চলাকালীন সময়ে তাঁরা যেন না আসেন। কিন্তু তাঁরা তা মানছেন না।

সিরাজগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন রামপদ রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার সঠিক জানা ছিল না। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ