সিলেট সংবাদদাতা
গ্রাহকের কাছে সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করে ফেলে রাখার অপরাধে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসকে জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার গোয়ালাবাজার শাখাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বিমান ধর নামে জনৈক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে এ জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে এ জরিমানা আদায় করেন সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ। তিনি জানান, গত ১৪ জুলাই বিমান ধর নামের এক ব্যক্তি লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৭ জুলাই ঢাকা থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের গোয়ালাবাজার শাখায় তাঁর নামে একটি পার্সেল আসে। কিন্তু তিনি সেটি পাননি। তিনি একাধিকবার সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কাস্টমার কেয়ার ও গোয়ালাবাজার শাখায় যোগাযোগ করে তাঁর পার্সেলটি পেতে ব্যর্থ হন।
পরে বিষয়টি তদন্ত করে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তদন্তে দেখা যায় পার্সেলটি ১২ জুলাই গোয়ালাবাজার শাখায় পৌঁছালেও যথাসময়ে সেটি সরবরাহ করা হয়নি। পরে এই শাখাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় অভিযোগকারী বিমান ধরকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হারে ৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একই দিন অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযানে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোঘলাবাজার এলাকায় পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে সেন্ট্রাল ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা, ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে কৃষি বন্ধু বীজঘর, কোয়ালিটি বীজঘর ও কৃষি বীজঘরকে ৫ হাজার টাকা করে এবং অন্নপূর্ণা বীজঘরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।