সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন মথুরাপুর এলাকা থেকে ১৬টি ড্রামে সংরক্ষিত প্রায় ২০ মণ ভেজাল মধু জব্দ করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গতকাল বুধবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের বাড়ি থেকে এসব মধু জব্দ করে।
এ সময় ভেজাল মধু তৈরির কাজে ব্যবহৃত গাম, ইউরিয়া সার, ফিটকিরি, খাবার সোডা ও বিশেষ একধরনের তরল পদার্থ উদ্ধার করা হয়। অভিযানের খবরে ভেজাল মধু তৈরি চক্রের মূল হোতা আশরাফুল ও তাঁর পিতা আব্দুর রশিদ পালিয়ে যান। জব্দ করা মধুসহ উদ্ধার হওয়া সরঞ্জামাদি শ্যামনগর থানায় নেওয়ার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং জব্দ করা মধু পানিতে ফেলে বিনষ্ট করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, ভেজাল মধু তৈরির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা হরিনগর মথুরাপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় চিনি গলিয়ে তৈরি মধু এবং মধুর ঘনত্ব বৃদ্ধির কাজে সহায়ক গাম, ইউরিয়া সারসহ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
মধু তৈরির সঙ্গে জড়িত আশরাফুল ও তাঁর পিতার বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় সাতক্ষীরা জেলা ও শ্যামনগর থানা-পুলিশ এবং অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বিকাশ চন্দ্র সরকার, সাতক্ষীরা জেলা ক্যাব সদস্য সাকিবুর রহমান।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, ঢাকার নামকরা কয়েকটি ওষুধ কোম্পানিকে সরবরাহের জন্য আশরাফুল নিজের বাড়িতে গোপনে এসব মধু তৈরি করেন। স্থানীয় আরও কয়েকটি চক্র একই পদ্ধতিতে মধুর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাঁটি বলে প্রচারণা চালিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছে।