হোম > ছাপা সংস্করণ

হাসপাতালে বাড়তি রোগীর চাপ

জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর

শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই জ্বর, ঠান্ডা, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে নতুন রোগী। ফলে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকসহ নার্সদের। অন্যদিকে শয্যাসংকটের কারণে রোগীদের ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায় রেখে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীসহ স্বজনেরা।

হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক জানান, এ মুহূর্তে ৫৪৩ রোগী ভর্তি আছে। এ ছাড়া চিকিৎসক-সংকট থাকার কারণে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ঠান্ডা, কাশি, জ্বরসহ নানা রোগ নিয়ে রেকর্ডসংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন এক থেকে ১৫০ রোগী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে অনেকেই মেঝেতে এবং বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৪টি শয্যা থাকলেও রোগী ভর্তি আছে ১৫০ শিশু। এদিকে হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডের মেডিকেল অফিসারের পদটি শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড, মেঝে এবং বারান্দায় শিশু রোগী ও স্বজনদের চাপ। বাড়তি রোগী সামলাতে চিকিৎসক ও নার্সদের রীতিমতো হিমশিম অবস্থা। অধিকাংশ শিশুই ঠান্ডা, জ্বর, কাশি আর শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রোগীর অভিভাবক ও স্বজনেরা জানান, হাসপাতাল থেকে খাবার ও কিছু ওষুধ সরবরাহ করা হলেও অধিকাংশই বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে। হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকায় গুরুতরদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত শয্যা না থাকার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা।

পুরুষ ওয়ার্ডে কথা হয় মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া এলাকার এফর মন্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, পেটের ব্যথা নিয়ে ছয় দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মেলান্দহের আদিপৈত এলাকার খলিল পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সদর উপজেলার নারিকেলি এলাকার মোবারক শ্বাসকষ্ট নিয়ে পাঁচ দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন। মেলান্দহের দুরমুট এলাকার আব্দুল করিম ঠান্ডাজনিত কারণে গতকাল ভর্তি হয়েছেন।

হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ তাজুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে। দেড় মাস ধরেই এ অবস্থা। আগামী দু-এক মাস এমন চাপ থাকবে। হাসপাতালটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহফুজুর রহমান সোহান জানান, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও অন্তর্বিভাগে প্রতিদিনই ৫০০ থেকে ৬০০ রোগী আর বহির্বিভাগে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে জ্বর-ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর চাপ বেশি। জায়গার অভাবে একটি বিছানায় তিন-চারজন বাচ্চা রাখতে হচ্ছে। এ ছাড়া ডাক্তার সংকট বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার প্রকোপ কমে আসায় সামান্য অসুস্থ রোগীরাও এখন চিকিৎসাসেবা নিতে হাসপাতালে ছুটে আসছেন। প্রতিদিন এত রোগীর চাপ সামাল দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ৭০ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও ৩৮ জন রয়েছেন মাত্র। মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদের জন্য চিকিৎসক চেয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে। 

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন