কুষ্টিয়ার মিরপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন সচল করতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইরফান আলী নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার পোড়াদহ সাব-জোনাল অফিসের আওতাধীন কুর্শা ইউনিয়নের ভেদামারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২১ মে ভোরে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মিরপুর উপজেলার বিদ্যুৎ লাইন ও ভেঙে পড়ে শতাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি। যার ফলে গত তিন দিনেও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এরই মধ্যে পল্লী বিদ্যুতের নিবন্ধিত ইলেকট্রিশিয়ান ইরফান আলী গতকাল গ্রামবাসীকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ লাইন সচল হতে আরও তিন দিন সময় লাগবে। আপনারা যদি আমাকে দুই হাজার টাকা দেন, তাহলে পল্লী বিদ্যুতের ইনচার্জ লাইনম্যানকে নিয়ে এসে আজকেই লাইন সচল করে দিতে পারি। প্রথমে গ্রামবাসী রাজি না হলেও পরে তাঁরা টাকা দেন। এর কিছুক্ষণ পরই লাইন চালু হয়ে যায়।’
গ্রাহক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুৎ লাইন চালুর আগে পোড়াদহ সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ওমর ফারুক এবং হালসা সাব অফিসের ইনচার্জ রাজ্জাক আলীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাঁরা বলেছিলেন, আজকে সম্ভব নয়, আগামীকাল চেষ্টা করব, আমরা খুব ব্যস্ত আছি। এখন প্রশ্ন হলো টাকা দেওয়ার পরে কিছু সময়ের মধ্যে কীভাবে লাইন চালু করা সম্ভব হলো?’ এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নিবন্ধিত ইলেকট্রিশিয়ান ইরফান আলী বলেন, ‘আমি গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে শ্রমিক নিয়ে লাইন সংস্কারের কাজ এবং বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করেছি।’
পোড়াদহ জোনাল অফিসের এজিএম ওমর ফারুক বলেন, ‘কোনো সাধারণ জনগণ অথবা পল্লী বিদ্যুতের নিবন্ধিত ইলেকট্রিশিয়ান বিদ্যুতের মেইন লাইনের কোনো কাজ করতে পারবেন না, যদি এমন কিছু করে থাকেন তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’