Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

উৎসবে কষ্ট বাড়ে তাঁদের

শামিমুজ্জামান, খুলনা

উৎসবে কষ্ট বাড়ে তাঁদের

বন্ধ হওয়া খুলনার বেসরকারি এ্যাজাক্স, আফিল, মহাসিন, জুট স্পিনার্স ও সোনালী জুটমিল শ্রমিকদের কষ্টের শেষ নেই। বকেয়া পাওনা না পেয়ে তাঁদের অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটে। কয়েক বছর ধরে উৎসব-পার্বণে যেন সেই কষ্ট বেড়ে যায় বহু গুণ।

প্রিয়জনের জন্য উপহার কিংবা একটু ভালো পোশাক দিতে না পারার কষ্টে নির্ঘুম রাত কাটে এসব শ্রমিকদের। ঈদুল আজহা উপলক্ষে এসব শ্রমিকদের পরিবারে নেই কোনো উৎসবের আমেজ।

শ্রমিক নেতারা মনে করেন, আন্দোলন ছাড়া বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই বকেয়া পাওনার দাবিতে ঈদের পর রাজপথে কঠোর কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।

গত আট বছরে খুলনায় একের পর এক বন্ধ হয়েছে বেসরকারি পাঁচটি পাটকল। বন্ধের সময় এক মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ এবং দ্রুত চালুর আশ্বাস দিলেও তা হয়নি। বকেয়া বেতন-ভাতাও সম্পূর্ণ বুঝে পাননি শ্রমিকেরা। বকেয়া না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব পাটকলের ১৫ হাজার শ্রমিক।

এ বিষয়ে মহাসিন জুটমিলের শ্রমিক মুন্সি বাবুল হোসেন বলেন, পাটকল বন্ধের পর বকেয়া বেতন-ভাতার জন্য বিভিন্ন মহলে ধরনা দিয়েছেন, কিন্তু পাওনা পাননি। টাকা না থাকায় না খেয়ে দিন কাটাতে হয়। সামনে ঈদ, পরিবারের সদস্যদের কিছু উপহার দেবেন, একটু মাংস-সেমাই কিনে দেবেন; সেই সামর্থ্য নেই। ছেলেমেয়েদের মুখের দিকে তাকাতে পারেন না।

সোনালী জুটমিলের শ্রমিক মো. আমীর বলেন, পাওনা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটে। পরিবারের সদস্যদের কোনো প্রয়োজন মেটাতে পারেন না।

এ্যাজাক্স জুটমিলের শ্রমিক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বন্ধ হয়েছে ২০১৪ সালে। মিল বন্ধের সময় কর্তৃপক্ষ কথা দিয়েছিল, এক মাসের মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধ করবে। কিন্তু আট বছরেও বকেয়া বেতন-ভাতা দেয়নি। চালুও হয়নি মিল। বকেয়ার দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে গেলেও লাভ হয়নি। শুধু আশ্বাস মিলেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছি, ঠিকমতো সংসার চলে না।’

এদিকে শ্রমিক নেতারা বলছেন, দাবি আদায়ে রাজপথে কঠোর কর্মসূচির কোনো বিকল্প নেই। পাট সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেক বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া এবং মিলগুলো চালুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবেদন-নিবেদন করে আসছেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হয়নি। শুধুই আশ্বাস মিলেছে। দাবি আদায়ে সামনে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

বেসরকারি পাট সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সি লিয়াকত আলী বলেন, দাবি আদায়ে আন্দোলনের বিকল্প নেই। পাটশ্রমিকদের বকেয়া আদায়ে ঈদের পর রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বন্ধ বেসরকারি পাটকলগুলোর শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত তাঁদের পাওনা আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ