নিরাপদ ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের অনেকেই এখন ট্রেনকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জমুখী ট্রেনে মাদকসেবী ও কারবারিদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাতের মহানন্দা কমিউটার ট্রেনটিতে মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের উৎপাতে অতিষ্ঠ যাত্রীরা।
ট্রেনের বগির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে হেরোইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাদক। এসব মাদক কিনে ট্রেনে বসেই প্রকাশ্যে সেবন করছেন তাঁরা। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা শওকত আলী বলেন, গত বুধবার রাতে চিকিৎসা শেষে মহানন্দা কমিউটার ট্রেনে পরিবারসহ রাজশাহী থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। কোর্ট স্টেশনে আসার পরই প্রায় সব বগি যাত্রীতে ভর্তি হয়ে যায়। এরপর থেকেই ট্রেনে শুরু হয় চেঁচামেচি ও মাদকসেবীদের দাপট। কেউ বাইরে থেকে মাদক এনে বগির মধ্যেই প্রকাশ্যে সেবন করছেন। আবার কেউ ট্রেনেই মাদক কিনে অন্য যাত্রীদের সামনে সেবন করছেন। প্রতিবাদ করলে মাদকসেবীরা জোট হয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়।
রাজশাহী শহরে রিকশা চালান আমনুরা এলাকার বাসিন্দা তুফান আলী। তিনি বলেন, কম ভাড়ায় নিয়মিত মহানন্দা ট্রেনে যাতায়াত করেন। কিন্তু ট্রেনের মধ্যে চুরি-ছিনতাই হওয়ার আতঙ্কে থাকতে হয় তাঁদের।
আমনুরা রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান বলেন, ‘মহানন্দা কমিউটার ট্রেনটি পাবলিক সার্ভিস হওয়ায় আমাদের কোনো পুলিশ থাকে না। তবে মাদক ব্যবহার বন্ধে অভিযান চালানো হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ বলেন, রাতের কমিউটার ট্রেনে সাধারণত রিকশা ও ভ্যান চালকেরা যাতায়াত করেন। তাঁরাই কোর্ট স্টেশন থেকে আমনুরা পর্যন্ত মাদক সেবন ও বিক্রি করেন এমন অভিযোগ শোনা যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, মহানন্দা ট্রেনটি বেসরকারি কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কোন প্রতিষ্ঠান ট্রেনটি পরিচালনা করে, এ সম্পর্কে তথ্য দেননি তিনি।