হোম > ছাপা সংস্করণ

ম্যারাডোনাহীন তিন বছর

উপল বড়ুয়া, ঢাকা

তাঁর না থাকার তিন বছর পূর্ণ হলো আজ। কেই-বা ভেবেছিল, এত দ্রুত চলে যাবেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা! ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি। ম্যারাডোনার আকস্মিক বিদায়ে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে বিশ্ব। সেই শোক কি আজও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে! 

এমন বর্ণাঢ্য-বর্ণিল জীবনের মানুষকে কি ভোলা সম্ভব! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম’ থেকে ধার করেই বলতে হয়, দৈহিক মৃত্যু হলেও যেখানেই ফুটবল, সেখানে প্রতিমুহূর্তে স্মর্তব্য ম্যারাডোনা। ঈশ্বর যেমন সর্বত্র বিরাজমান, ‘ছিয়াশির মহানায়ক’ও ব্রাজিলের বিখ্যাত ভাস্কর্য ‘ক্রাইস্ট দ্য রিডিমারের’ মতন দুই হাত প্রসারিত করে ফুটবলারদের আশীর্বাদ করে যাচ্ছেন। 

সেই আশীর্বাদ পেয়েছিলেন বলেই না গত বছর আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষার ইতি টেনে বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরা লিওনেল মেসির। মারাকানায় ২৮ বছর পর ২০২১ সালে কোপা আমেরিকাও জিতেছিল আর্জেন্টিনা। হয়তো বিখ্যাত হাভানা চুরুট ঠোঁটে আলবিসেলেস্তেদের এই দুই আন্তর্জাতিক শিরোপা উৎসব স্বর্গে বসে দেখেছিলেন ম্যারাডোনা। কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পর মেসিরা অনুপ্রেরণা খুঁজেছিলেন ম্যারাডোনার কাছেই। সেই ম্যাচের চার দিন পর মেক্সিকোর বিপক্ষে জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় আর্জেন্টাইনরা। তার দুই দিন আগে ছিল ম্যারাডোনার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।

দলের হোক বা ব্যক্তিগত, এমন কত ঘুরে দাঁড়ানো গল্প আছে তাঁর! বেঁচে থাকতে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে হোক বা দর্শকসারিতে—চাতক পাখির মতো পূর্বসূরিদের থেকে আন্তর্জাতিক শিরোপা চেয়ে গলা ফাটিয়েছেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনাও বিশ্বকাপ জয়ের পর শিরোপা উৎসর্গ করেছিল তাঁকে। আর মেসি যেন বিখ্যাত ইতালিয়ান শিল্পী মিকেলঅ্যাঞ্জেলোর মাস্টারপিস ‘দ্য ক্রিয়েশন অব অ্যাডামের’ মতো মিলে গিয়েছিলেন ‘ফুটবল ঈশ্বরে’র সঙ্গে। গত ৩০ অক্টোবর রাতে প্যারিসে রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি। সেদিন আবার ছিল ম্যারাডোনার জন্মদিন। ইন্টার মায়ামি তারকা সেটি ভোলেননি, ব্যালন ডি’অর উৎসর্গ করেন সাবেক গুরুকে। 

একক নৈপুণ্যে শিরোপা জেতা সহজ নয়, ১৯৮৬ বিশ্বকাপে সেটি করে দেখিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। নাপোলিকেও এনে দেন দুটি সিরি’আ ও একটি উয়েফা কাপ। গত বছর ৩৩ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে লিগ জেতে ক্লাবটি, প্রিয় ক্লাবের শিরোপা উদ্‌যাপনেও মধ্যমণি হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। এ বছরের শেষ আন্তর্জাতিক বিরতির পর আজ আতালান্তার মাঠে নামবে নাপোলি। নেপলবাসী তাঁদের নয়নের মণি ম্যারাডোনাকে মৃত্যুদিবসে স্মরণ করবেন, সেটিই স্বাভাবিক। যেমনটা দেখা গেছে দিন তিনেক আগে মারাকানায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। 

ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর তাঁর নামে নিজেদের স্টেডিয়ামের নামকরণ করে নাপোলি। এখন নিজেদের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারের স্মৃতি ধরে রাখতে নতুন আরেকটি উদ্যোগ নিয়েছে তারা। পরিত্যক্ত হয়ে পড়া ক্লাবটির সাবেক ট্রেনিং গ্রাউন্ড সেন্ট্রো প্যারাদিসো কিনে সেটিকে পুনঃ সংস্কার করা হচ্ছে। এখানেই অনুশীলন সারতেন ম্যারাডোনা। এই ভূমি কিনে নিয়েছেন নাপোলির আরেক সন্তান ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী ফ্যাবিও ক্যানাভারো। 

ফুটবলের সবচেয়ে বড় নক্ষত্র হলেও আমৃত্যু সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন ম্যারাডোনা। সেটি হোক কিউবা বা ফিলিস্তিন। নিজের আত্মজীবনী শেষে ১০০ ফুটবলারকে নিয়ে মন্তব্য লিখেছেন তিনি। তবে মাঠে ও মাঠের বাইরে অসংখ্য বিতর্ক ও ঘটনার জন্ম দেওয়া ম্যারাডোনার নিজের সম্পর্কে মন্তব্য, ‘আমার মা মনে করেন, আমিই সেরা’।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন