গাজীপুরের মধ্যে শিক্ষাদীক্ষায় কাপাসিয়া উপজেলা অনেকটাই এগিয়ে। উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ডিজিটাল আইসিটি ভবনসহ অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা রয়েছে উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। তবে এখনো উপজেলার ৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই কোনো শহীদ মিনার। প্রতিবছর অস্থায়ী শহীদ মিনারে জানানো হয় ভাষাশহীদদের প্রতি সম্মান।
কাপাসিয়া প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্যমতে, উপজেলার ১৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মধ্যে শুধু রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার। উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৫টি, এর মধ্যে ২৭টিতে শহীদ মিনার নেই। দাখিল মাদ্রাসার সংখ্যা ৪০টির মধ্যে ৩৯টিতেই নেই শহীদ মিনার।
১৫টি আলিম মাদ্রাসার মধ্যে তিনটিতে শহীদ মিনার নেই নেই। ১০ ফাজিল মাদ্রাসার একটিতেও নেই কোনো শহীদ মিনার এবং ১৪টি কলেজ মধ্যে নয়টিতে কোনো শহীদ মিনার নেই।
এই প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার না থাকায় প্রতিবছর অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে অথবা শহীদ মিনারের প্রতিকৃতিতে একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে আসছে। যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে সেগুলো প্রায় সবই জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা। তাই যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এখনো কোনো শহীদ মিনার নেই তারা শহীদ মিনার নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করে রেখেছেন।
গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামিলা আহমেদ বলেন, গাজীপুর জেলাতে বিগত ১০ বছরে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার হয়েছে প্রায় সব জেলা পরিষদের অর্থায়নে করা। জেলার পাঁচ উপজেলাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেক, একবারে তা করা সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে সব করা হবে।
জামিলা আহমেদ বলেন, এ বছর অনেকগুলো শহীদ মিনারের করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এককভাবে শুধু জেলা পরিষদ থেকে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার করে দেওয়া হচ্ছে। শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসা উচিত।