কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর পূর্ব তীরে দেওঘর ইউনিয়নের প্রধান সড়ক ঘেঁষে আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আঙিনায় প্রবেশ করে যে কেউ মুগ্ধ হবে পঠন-পাঠন উপকরণ ও বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামোয়। বারান্দার ছাদে চাঁদ-তারা গ্রহ-নক্ষত্রে সজ্জিত ‘নভোমণ্ডল’ আর দেয়ালে শিল্পীর আঁকা অক্ষর, শব্দ, চিত্রে সৃজনশীল পাঠ্য ‘বই’। শিশুবান্ধব মানসিকতায় রাঙানো বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে হাওরে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিশুদের দেখে শেখার মানসিকতা কাজে লাগিয়ে সুন্দর ও আনন্দদায়ক পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে বিদ্যালয়কে এভাবে সাজানো হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও সহজে পড়াশোনা আত্মস্থ হবে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যালয়টিতে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চমে ৪৮১ জন, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ২৬৪ জনসহ ৭৪৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে মনোরম এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আক্ষেপ পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও আসবাব নিয়ে।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে বিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন সাজ মন কেড়েছে শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মার্জিয়া আক্তার বলে, ‘খুব সুন্দর লাগে ইশকুলের পরিবেশ। বই না পড়েও অনেক শব্দ ও অক্ষর শিখতে পারি। ছবি দেইখ্যা লিখতে পারি। এখানে বাড়ির চেয়ে বেশি ভালো লাগে পড়ালেখা করতে।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীন মোল্লা বলেন, ‘চমৎকার পরিবেশের জন্য শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে। পড়ায় মনোনিবেশ করে তারা। এ কারণে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির হার খুবই কম। ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় শিক্ষক কম, তাই পাঠদানে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, শিশুদের বিদ্যালয়গামী করা এবং পাঠ সহজীকরণের জন্য নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে বিদ্যালয়কে। তিনি জানান, এই বিদ্যালয়ে তিনটি সৃষ্ট পদ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।