হোম > ছাপা সংস্করণ

যানের চাপ কম, অশনিতে কষ্ট

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গত দুদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নদী পারা হতে আসা যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা।

আবহাওয়া বেশি খারাপ হলে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।

গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘাট এলাকায় যাত্রী এবং যানবাহনের চাপ গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক কম। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে করে ফেরিঘাটে এসে নামছেন। ঘাটে ফেরি ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে যে যাঁর মতো ফেরিতে উঠে পড়ছেন। অনেক সময় ঘাট থেকে ফেরি ছেড়ে দিলেও অনেকে ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠছেন। এ ছাড়া ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার জুড়ে পণ্যবাহী গাড়ি ও তেলপাম্প পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাসের একটি সারি রয়েছে।

ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছিলেন যশোরের আলি হাসান। পাঁচ নম্বর ফেরিঘাটে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে ছুটি না থাকায় বাড়ি যেতে পারিনি। ঈদের পর বাড়িতে গিয়ে ৪ দিনের ছুটি শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি। কিন্তু এই বৃষ্টির মধ্যে চলাফেরায় কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে নেমে ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে পুরো ভিজে গেছি। কিছু করার নেই চাকরি বাঁচাতে হলে ভিজে–পুড়ে যেভাবেই হোক আজ পৌঁছাতে হবে।’

কুষ্টিয়া থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে ঢাকার মিরপুরে যাচ্ছিলেন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জুয়েল খান। দৌলতদিয়ার চার নম্বর ফেরিঘাটে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘কোনো রকম যানজট ছাড়াই ফেরিঘাটে আসতে পেরেছি, কোথাও তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে বৃষ্টির জন্য বেশ সমস্যা হয়েছে। জরুরি হওয়ায় বৃষ্টির মধ্যেই ঢাকায় যেতে হচ্ছে।’

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে ৭৯০টি বাস, ১ হাজার ৪২টি পণ্যবাহী ট্রাক, ৩ হাজার ৩৮১টি ছোট গাড়ি এবং ৭৭০টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে। এর আগে গত রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই ঘাট দিয়ে ৭৭২টি বাস, ৮৯১টি পণ্যবাহী গাড়ি, ৩ হাজার ৩৮৮টি ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ১ হাজার ৯৬টি মোটরসাইকেল পার হয়েছিল।

ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ জানান, ঈদের এক সপ্তাহ পর আজই প্রথম ঘাট এলাকার যানজট পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজেই ফেরিতে উঠছেন। আবার অনেকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, ‘ঈদের পর শুধু দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ৩৮ হাজার ৩৫৭টি যানবাহন পার হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ৪ হাজার ৩৪ টি, পণ্যবাহী গাড়ি ৩ হাজার ৭০৩ টি, ছোট বা ব্যক্তিগত গাড়ি ২২ হাজার ২৯টি এবং ৮ হাজার ৫২১টি মোটরসাইকেল। এই ঘাট দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহনে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫০৬ জন যাত্রী পার হয়েছে। যানবাহন ছাড়া লক্ষাধিক যাত্রী পারাপার হয়েছেন। ঈদের পর সব মিলে প্রায় তিন লাখ যাত্রী পার হয়েছেন।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দিন জানান, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে মানুষের ভোগান্তি কিছুটা বেড়েছে। তবে গত পাঁচ দিনের তুলনায় আজ যানবাহনের ও যাত্রীর চাপ অনেকটাই কম।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন