Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

গাইবান্ধার গায়েবি মসজিদ

আসাদুজ্জামান মামুন, গাইবান্ধা

গাইবান্ধার গায়েবি মসজিদ

জামালপুর শাহী মসজিদ। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে ৭০০ বছরের প্রাচীন এই মসজিদের অবস্থান। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পূর্বপাশে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই মসজিদ একসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাটিচাপা পড়ে। এরপর সেখানে গজায় বিশাল এক বটগাছ। একদিন প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টিতে গাছটি ভেঙে পড়ে। বেরিয়ে আসে মসজিদটি। সেই থেকে একে গায়েবি মসজিদ নামে চেনে স্থানীয় মানুষ। এখন এই মসজিদ দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই আসেন অনেকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসনামলের কোনো এক সময় মসজিদটি নির্মিত হয়। এরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটি মাটির নিচে চাপা পড়ে। মসজিদ এলাকায় কোনো লোকবসতি না থাকায় বনজঙ্গলে ছেয়ে যায়। ষাটের দশকের প্রথম দিকে গাইবান্ধা মহকুমার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান হক্কানি কুতুবউদ্দিন নামের এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় লোকজনের কাছে এই মসজিদ সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপর শুরু করেন অনুসন্ধান। কিন্তু মসজিদের জায়গায় তত দিনে বিশাল এক বটগাছ দাঁড়িয়ে। হঠাৎ একদিন প্রচণ্ড ঝড়ে বটগাছটি ভেঙে পড়ে। বেরিয়ে আসে মসজিদটি।

জনশ্রুতি আছে, সুলতান মাহমুদের আমলে হজরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতির নির্দেশে সৈয়দ ভোম আলী নামের এক ব্যক্তি ভারতের শিলিগুড়ি থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য এই এলাকায় আসেন। তিনি সাক্ষাৎ করেন হজরত শাহ জামাল (র.)-এর সঙ্গে। তাঁরাই মসজিদটি নির্মাণ করেন। এ হিসাবে মসজিদের বয়স প্রায় ৭০০ বছর। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে মসজিদটি অনেক বড়। কিন্তু ভেতরে মাত্র দুই কাতারে ৬০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন কিছুদিন আগেও। অবশ্য এখন মূল অবকাঠামো ঠিক রেখে মসজিদের পরিসর বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে মসজিদটি দ্বিতল করা হয়েছে।

মসজিদের জমির কাগজপত্রে দেখা যায়, ১৯৪০ সালের রেকর্ড অনুযায়ী মসজিদের ১৬ শতক জমির মালিক ছিলেন বড় জামালপুর গ্রামের মরহুম খন্দকার আবদুল মজিদ। পরবর্তী সময়ে মসজিদের নামে তাঁরা জমিটি লিখে দেন। ফলে এ মসজিদের দাতা আবদুল মজিদ।

মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. মাহাবুর রহমান বলেন, মসজিদের ভেতরে জায়গা খুব কম ছিল। এ কারণে এলাকার লোকজন মূল অবকাঠামো ঠিক রেখে সামনের দিকে ভবন বাড়িয়েছেন। মসজিদের দ্বিতীয় তলার কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন প্রায় ৭০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী সরকার বলেন, প্রতি শুক্রবার দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে আসেন। অনেকে মসজিদে টাকা, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, চাল ও মিষ্টি নিয়ে আসেন। অনেকে রান্না করা খাবারও আনেন বিতরণের জন্য। তিনি আরও জানান, ধর্মপ্রাণ মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় মসজিদ পরিচালিত হচ্ছে।

জামালপুর শাহী মসজিদ কমিটির সভাপতি খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মসজিদটি অনেক সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আরও অনেক কাজ বাকি। অর্থাভাবে মসজিদের সংস্কারকাজ বন্ধ রয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ