পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতেও স্থায়ীভাবে নির্মিত হয়নি স্মৃতিসৌধ। উপজেলাসংলগ্ন রাস্তার পাশে বাঁশ ও কাপড়ের তৈরি অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে মহান বিজয় দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ বিষয় নিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে রয়েছে যেমন হতাশা, তেমনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আছে আক্ষেপ।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পল্লি পাঠাগার মিয়াপাড়ার প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নতুন প্রজন্ম একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, কিন্তু ইতিহাস পড়ে ও শুনে একাত্তরের চেতনা লালন করি। নতুন প্রজন্মের মধ্যে মহান স্বাধীনতার চেতনাকে উজ্জীবিত করতে আটঘরিয়া উপজেলা সদরে অনতিবিলম্বে স্থায়ীভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জোর দাবি জানাই।’
জানতে চাইলে আটঘরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. জহুরুল হক বলেন, ‘আমরা ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে জীবনবাজি রেখে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু যখন দেখি নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানাতে স্থায়ীভাবে নির্মিত হয়নি স্মৃতিসৌধ, তখন অনেক কষ্ট হয়। আগামী প্রজন্মের কাছে মহান স্বাধীনতার ইতিহাস এবং ৩০ লাখো শহীদের স্মৃতিকে লালন করতে উপজেলায় একটি স্থায়ী স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জোর দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তানভীর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আটঘরিয়া উপজেলায় স্থায়ীভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়নি, বিষয়টি নিয়ে তিনি লজ্জিত ও ব্যথিত। স্থায়ীভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে একটি প্রস্তাবনা মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া আছে। তিনি আশা করছেন অল্পদিনের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শুরু হবে।