মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ফোন করে জুয়া খেলা হচ্ছে বলে ভুল তথ্য দেয় পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন মাটি কাটা শ্রমিকেরা গাছের ছায়ায় গোল হয়ে বসে ভাত খাচ্ছেন।
মহম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেন গত শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানান।
মহম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেন বলেন, ‘গত শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সদরের সূর্যকুন্ডু গ্রামের অধিবাসী পরিচয় দিয়ে জনৈক হাবিব মিয়া নামের এক যুবক ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। ফোন করে তিনি জানান, উপজেলা সদর ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামে একদল লোক ঝোপের মধ্যে বসে নিয়মিত জুয়া খেলে। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয় না। সংবাদ পেয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো ইকরামুল হোসেন থানার উপপরিদর্শক মোক্তার হোসেন ও সহকারী উপপরিদর্শক আমরুজ্জামানকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠায়।’
উপপরিদর্শক মোক্তার জানান, খবর পেয়ে কিছুক্ষণ পর তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তিনি অভিযোগের কোনো সত্যতা পাননি। তিনি গিয়ে দেখেন, সরকারি চল্লিশ দিনের একটি প্রকল্পের ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক মাটি ভরাটের কাজ করছেন। পরে তাঁরা ঝোপের মধ্যে গোল হয়ে বসে দুপুরের ভাত খাচ্ছেন। তাঁরা গোল হয়ে বসে জুয়া খেলছেন ভেবে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯এ ফোন করেন অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি।
তিনি আরও জানান, পরে সংবাদদাতার বিষয়ে পুলিশের সন্দেহ হয় যে ওই লোক মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের স্বার্থ আদায়ের লক্ষ্যে পুলিশকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। তখন পুলিশ তথ্যদাতাকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পারে ৯৯৯ এ ফোন করা ব্যক্তির নাম হাবিব নয়। তাঁর গ্রামের ঠিকানাও সঠিক নয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে ৯৯৯-এর অপব্যবহার করার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বইতে একটি নোট দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম জানান, শ্রমিকেরা মাটি কাটার কাজের পর গোল হয়ে বসে ভাত খাচ্ছিলেন। এমন সময় পুলিশ আসতে দেখে তাঁরা প্রথমে ভয় পেয়ে যান। পরে বিষয়টি জানতে পারেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো ইকরাম হোসেন বলেন, ‘কিছু লোক বিনা কারণে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ করেন। পুলিশ মাঠে গিয়ে বেশির ভাগ অভিযোগ মিথ্যা পায়। এমনকি অভিযোগ করার পর অভিযোগকারী ফোন বন্ধ করে দেন। এতে পুলিশের দায়িত্ব পালনে ব্যাঘাত ঘটে।’