Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রক্ত পরীক্ষা, লাগবে কোন কাজে?

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের রক্ত পরীক্ষা, লাগবে কোন কাজে?

বান্দরবানের থানচিতে একটি প্রাথমিক ও একটি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোট ১৩৭ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

জানা গেছে, টাকা নেওয়ার বিধান না থাকলেও উপজেলার তিন্দু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১১ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। তিন্দু নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বামং খিয়ানের নির্দেশে ২৬ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এই টাকা নেওয়া হয়। এর মধ্যে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখনো পাঠদানের অনুমতি নেই।

তিন্দু নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী লিছো খুমী, মিরিথন খুমী, খয়প ম্রো, ক্যওয়ানু মারমা, প্রশান্ত ত্রিপুরাসহ কয়েকজন জানায়, ১১ আগস্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাদের রক্ত পরীক্ষা করতে ৩০০ টাকা করে দিতে বলেন। বিষয়টি বাড়িতে জানালে অভিভাবকেরা অনেক কষ্টে ও ধার করে টাকা দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের আবাসিক হোস্টেলের সুপার লংঙিং ম্রোর হাতে এই টাকা দিয়েছে তারা। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইক্যওয়াং মারমা টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হোস্টেল সুপার লংঙিং ম্রো জানান, থানচি সদর থেকে প্রধান শিক্ষক বামং খিয়ান মোবাইল ফোনে নির্দেশ দিয়েছেন, সব শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ ও সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তবে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা কী কারণে প্রয়োজন, তা তিনি জানেন না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসলাম খান বলেন, ‘পাঠদানের অনুমতিহীন তিন্দু নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের সার্টিফিকেটের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমার বোধগম্য নয়।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বামং খিয়ান (মিংলেন) বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা থানচি সদরে এলে নৌকা ভাড়া অনেক দিতে হতো। তাই থানচি সদরের এক ল্যাব টেকনিশিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩৫০ টাকায় কন্ট্রাক্ট করি। পরে তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে ৫০ টাকা কমিয়ে নিয়েছেন, এটা তো শিক্ষার্থীদের সৌভাগ্যের ব্যাপার।’ তবে রক্তের গ্রুপ নির্ধারণের প্রয়োজন ছিল কি না, জানতে চাইলে তিনি রেগে যান। তিনি বলেন, ‘আপনাকে বললে আপনি আমাদের বেতন দেবেন? আমরা বেতন পাই না দীর্ঘ দিন।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘সরকারি প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ধারণে সার্টিফিকেট প্রয়োজনে হলে স্বাস্থ্য বিভাগের লোক বিদ্যালয়ে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করে, কোনো ফি দিতে হয় না। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে কতজন শিক্ষার্থী আছে, আগে জানাতে হবে।’

এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও তিন্দু ইউপি সদস্য ক্রানিঅং মারমা বলেন, গত ১৬ জুন থানচি রিসোর্স সেন্টারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে রিসোর্স কর্মকর্তা সাকির আমীন নির্দেশ দিয়েছিলেন, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ইউনিক আইডি প্রোফাইল অ্যাকাউন্ট করার জন্য রক্তের গ্রুপ সার্টিফিকেট প্রয়োজন। এ জন্য বিদ্যালয়ের ১১১ শিক্ষার্থীকে ৩০০ টাকা করে গুনতে হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ত্রিরত্ন চাকমা বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ইউনিক আইডি প্রোফাইল অনলাইনে যুক্ত করার জন্য রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ, জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু টাকা নিয়ে রক্তের গ্রুপ নির্ধারণের কথা আমার জানা নেই।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ