Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

‘কীভাবে আঘাত করতে হবে জানি’

ক্রীড়া ডেস্ক

‘কীভাবে আঘাত করতে হবে জানি’

হোসে মরিনহোর কল্যাণে ‘পার্ক দ্য বাস’ বা আঁটসাঁট রক্ষণ ফুটবলে বেশ চর্চিত এক শব্দ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের ১১ খেলোয়াড়ের রক্ষণ টপকেছে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় রাউন্ডেও একই কৌশলে লিওনেল মেসিদের আটকাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।

শেষ চারে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া যেন রক্ষণে আরেক কাঠি সরেস। ক্রোয়াটরাও যদি বক্সের সামনে পার্ক দ্য বাস করে বসে, সেই রক্ষণ ভাঙা সম্ভব কি না—প্রশ্নটা করেই বসলেন এক আর্জেন্টাইন সাংবাদিক।

প্রশ্নটা যাঁকে করা হয়েছে, সেই লিওনেল স্কালোনির দল আর্জেন্টিনাকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক দলগুলোর একটি। আক্রমণই তাদের শক্তি, আক্রমণেই ভরসা। যুগে যুগে এ বিভাগে কখনোই তারকার অভাব হয়নি আর্জেন্টিনার। যত সমালোচনা—সব রক্ষণ নিয়ে। কিন্তু লিওনেল মেসির মতো সর্বকালের সেরা ফরোয়ার্ড থাকার পরও যখন ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হয়, তখন একজন কোচের মুখ থেকে বেফাঁস কিছু বের হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। ঠোঁটকাটা হলে অন্য কেউ হয়তো সেটাই করতেন। স্কালোনি উল্টো ক্রোয়েশিয়াকে প্রশংসাই করে গেলেন।

‘মেসিকে আটকানোর কৌশল জানি, আর্জেন্টিনা আটকে যাবে’ বলে যখন ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড ব্রুনো পেতকোভিচ হুংকার ছুড়েছেন, তখন আর্জেন্টিনা কোচ শোনালেন সাম্যের বাণী, ‘ক্রোয়েশিয়া আক্রমণাত্মকও খেলে না, রক্ষণাত্মকও খেলে না। তারা বেশ ভালো ফুটবল খেলে, সমৃদ্ধ ফুটবল-ঐতিহ্য আছে তাদের।’

বিশ্বকাপে আগের সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, আর্জেন্টাইনদের চিরন্তন ‘এল লোকো’ বা পাগলাটে মানসিকতা থেকে ভিন্ন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আসার আগে হোমওয়ার্ক করে আসেন। কথায় কথায় রেগে যান না। এমনকি নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পর ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমে মেসির মতো ফুটবলারকে ধুয়ে দেওয়ার পরও স্কালোনি তাদের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন শান্ত কণ্ঠে, ‘এটাই ফুটবল। আমরা জানি হারলে কীভাবে সহ্য করতে হয়। সৌদি ম্যাচে হারের পর কিন্তু আমরা একটি কথাও বলিনি। ব্রাজিলে আমরা তাদের হারিয়েই কোপা আমেরিকা জিতেছি। ম্যাচের পর মেসি, নেইমার, পারাদেসের আড্ডা আমাদের খেলাধুলার অন্যতম সেরা মুহূর্ত উপহার দিয়েছে।’

 কোচের মতো স্নায়ু ঠান্ডা করে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকোও। মার্কোস আকুনিয়া না থাকায় আজ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শুরুর একাদশে তাগলিয়াফিকোর জায়গা মোটামুটি নিশ্চিত। ক্রোয়াট রক্ষণভাগে ফাটল ধরানো সম্ভব কি না, এ প্রশ্নে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার বলেন, ‘আমরা জানি কাদের মুখোমুখি হচ্ছি। এটা সেমিফাইনাল। প্রতিপক্ষ দলে অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। তবে আমরা জানি, তাদের কীভাবে আঘাত করতে হবে।’

 এবারের বিশ্বকাপের ৫ ম্যাচে গোল করে এগিয়ে গেলেও শেষ দিকে এসে খেই হারিয়ে ফেলছে আর্জেন্টাইনদের রক্ষণ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৭ মিনিটে এসে গোল হজম করেছিল দলটির রক্ষণ। নেদারল্যান্ডস ম্যাচে শেষ সময়ে গোল খেয়ে জিততে হয়েছে টাইব্রেকে এসে। এই সমস্যা নিয়ে তাগলিয়াফিকোর ব্যাখ্যা, ‘শেষ কয়েক মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেষ সময়ে অনেক কিছুই হতে পারে, যেটা আমাদের ভোগাতে পারে। এখন পর্যন্ত আমরা এই সমস্যা উতরে গেছি। আমাদের উচিত এই সময়ে কাউন্টার অ্যাটাকে খেলা।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ