পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় বুড়িমারী স্থলবন্দর-ঢাকা মহাসড়কের ৫ কিলেমিটার অংশ খানাখন্দে ভরে গেছে। উপজেলার স্থানীয় চিলার বাজার এলাকার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে পৌর শহরের পুরোনো তেলের পাম্প পর্যন্ত মহাসড়কের এই অংশে গর্ত আর গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে পানি জমে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কয়েক বছর আগে একবার সংস্কার করা হলেও অল্প দিনের মধ্যেই সড়কের কার্পেটিং ও বিটুমিন উঠে যায়। এভাবে দায়সারাভাবে না করে দ্রুত এমনভাবে সংস্কার করা হোক যেন সড়কটি টেকসই হয়।
অন্যদিকে জেলা সড়ক বিভাগ বলছে, মহাসড়কটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে দ্রুত কাজ শুরুর জন্য। সড়কটির সংস্কার হলে সবার দুর্ভোগ কমবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহাসড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের বুড়িমারী শূন্যরেখা থেকে ১০ কিলোমিটার সংস্কার করা হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই সড়কের কার্পেটিং ও বিটুমিন উঠে যায়। এ ছাড়া পাটগ্রাম পৌরসভায় নালার ব্যবস্থা না থাকায় শহরের অংশে সড়কে প্রায়ই পানি জমে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী গাড়ি, দূরপাল্লার বাস-ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। বুড়িমারী স্থলবন্দরে রয়েছে পুলিশ অভিবাসন চৌকি। এ পথ দিয়ে ভারতে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করেন। বেহাল মহাসড়কে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মধ্যে পড়েন এ পথে চলাচলকারীরা।
লালমনিরহাট সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারিতে মহাসড়কটি সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরবিএল। তারা কাজ শুরু করতে দেরি করছে। এ জন্য তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই ঠিকাদার দ্রুত কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছে।