হোম > ছাপা সংস্করণ

ডিএসসিসির অনিয়মে দেবে গেল ৭৬৩ কোটির সড়ক

তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সঙ্গে যুক্ত হওয়া চারটি ইউনিয়নে ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ১৭৪ কিলোমিটার রাস্তা। সাধারণত নতুন রাস্তা নির্মাণের পর কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে সংস্কারে হাত দিতে হয় না। কিন্তু ডিএসসিসির এ রাস্তাগুলোর বেশ কিছু অংশ নির্মাণের বছর দুয়েক না পেরোতেই দেবে গেছে। আবার কোথাও বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পের কাজে অনিয়মের কারণে রাস্তার এমন হাল হয়েছে। সেই অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। গত রোববার গঠন করা তিন সদস্যের এ কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ডিএসসিসিতে যুক্ত হওয়া এলাকাগুলো হলো শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল ও সারুলিয়া। রাস্তা দেবে যাওয়ার পর যোগাযোগব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে এরই মধ্যে দু-তিনবার সংস্কার কাজও করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন। কিন্তু এতেও তদন্ত এড়ানো গেল না।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুনেছি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখুক কী অনিয়ম হয়েছে।’

ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, এ রাস্তাগুলো নির্মাণের শুরুতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। পদে পদে অনিয়ম আর মানহীন নির্মাণ উপকরণ ও নির্দিষ্ট স্থানে ড্রেন নির্মাণ না করার বিষয়টি সবার মুখে মুখে ছিল তখন। এসব আলোচনার মধ্য দিয়ে বেশ কিছু সময় পার হয়েছে। সম্প্রতি একটি রাস্তা দেবে গেলে তা আবারও আলোচনায় আসে। এরপর ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করতে সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে সরেজমিন পরিদর্শনে পাঠানো হয়। প্রধান প্রকৌশলী প্রকল্প এলাকা ঘুরে সত্যতা পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত অবগত করেন। এর ধারাবাহিকতায় এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সংস্থাটির একাধিক প্রকৌশলী জানান, রাস্তা নির্মাণের অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নিতে চিঠি আসে। এরপরই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। গত রোববার সকালে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামানের সই করা চিঠিতে গঠন করা হয় কমিটি। এ কমিটিতে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদকে আহ্বায়ক আর অঞ্চল-৫-এর সহকারী প্রকৌশলী বুলবুল ইসলামকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। অন্য সদস্য হলেন সহকারী প্রকৌশলী জহির আহম্মেদ।

রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অনুমোদন দেয় সরকার। ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প নথিপত্রে ২০২০ সালে শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে তা শেষ হতে আরও বেশ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এরই মধ্যে একদিক দিয়ে রাস্তার কাজ শেষ হলে অন্য পাশে ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন নানাভাবে বিক্ষোভ করলে তা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

এ বিষয়ে ডিএসসিসি প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘১৭৪ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে মাত্র ২৫০ মিটার রাস্তায় সমস্যা হয়েছে। সেখানে ভারী একটি রেডিমিক্সের গাড়ি চলাচলের সময় তা রাস্তা থেকে ধানখেতে নেমে পড়ে। এ গাড়িটি ওঠানোর জন্য যে চেষ্টা করা হয়েছে, সে সময় কিছু রাস্তা দেবে বা ফেটে গেছে। আমি তা ঠিকাদারের জামানতের টাকা থেকে মেরামত করে দিয়েছি।’

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন