কুষ্টিয়ার খোকসায় পেঁয়াজের চারা বীজতলা থেকে তুলে জমিতে রোপণে ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এবার ব্যতিব্যস্ত জেলার চাষিরা। তবে দেশীয় পেঁয়াজের চেয়ে হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ বেশি লাগানো হচ্ছে। চাষিরা বলছেন, অল্প খরচে ভালো ফলন হওয়ায় হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ লাগানো হচ্ছে।
জানা গেছে, কৃষকেরা প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি করেছেন। বর্তমানে চারা রোপণের উপযুক্ত হয়েছে। এখন সেই চারা বীজতলা থেকে উত্তোলন করে জমিতে রোপণ করছেন। বিগত বছরগুলোতে পেঁয়াজ চাষ করে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় এবার ব্যাপকভাবে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দল বেঁধে একটি লাইনে একসঙ্গে পেঁয়াজ লাগানোর চিত্র।
কৃষকেরা জানান, পৌষের মাঝামাঝি সময়ে জমিতে পেঁয়াজ চারা রোপণ করা হয় এবং চৈত্র মাসের প্রথমদিকে পেঁয়াজ তোলা হয়। এ বছর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে খরচ হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। অল্প খরচে ফলন বেশি হওয়ায় এবার দেশীয় পেঁয়াজের চেয়ে হাইব্রিড জাতের কিং পেঁয়াজ বেশি লাগানো হচ্ছে।
বিলজানি গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ করছি। কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের পরামর্শ দিয়েছিল, তাই এবারও পেঁয়াজ চাষ করছি। গত বছর ফলন ভালো হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাদের উঁচু জমি আছে তারা বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ চাষ করতে পারে। এতে তারা লাভবান হবে।’
গোপগ্রামে কৃষক লালন মোল্লা বলেন, ‘গত বছর আমি তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। এবার ৪ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ লাগাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর শ্রমিক ঘাটতি থাকায় পেঁয়াজ লাগাতে বেশি সময় লাগছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা জানান, এবার উপজেলায় পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় বেশি। তাঁর আশা, এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সবুজ কুমার সাহা আরও জানান, দেশের পাঁচটি জেলায় পেঁয়াজের বেশি উৎপাদন হয়, এর মধ্যে কুষ্টিয়া একটি।