নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে টানা বর্ষণে রেললাইন ডুবে গেছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ট্রেন চলাচল। তাৎক্ষণিক এই সিদ্ধান্ত জানতে না পারায় স্টেশনে এসে ফিরে যেতে হয়েছে ঢাকাগামী যাত্রীদের। কখন চালু হবে ট্রেন, তা-ও জানাতে পারেননি স্টেশনমাস্টাররা। ফলে দিনভর দুর্ভোগেই কেটেছে ঢাকাগামী ট্রেনযাত্রীদের।
গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথে দুটি ট্রেন যাত্রী নিয়ে আসা-যাওয়া করে। এর পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রেন চলাচল। স্টেশনে এসে ট্রেন না চলার কথা শুনে বিকল্প পরিবহনে অনেকে যাত্রা করেন ঢাকার উদ্দেশে। বৃষ্টি আর বাড়তি যাত্রীর চাপে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে তৈরি হয় যানজট। সব মিলিয়ে অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার ঢাকামুখী যাত্রীরা।
গতকাল বিকেলে কথা হলে চাষাঢ়া স্টেশনের মাস্টার সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্যামপুর রেলস্টেশনে ট্রেন ট্র্যাক পানিতে ডুবে রয়েছে। সেই পানি সরে গেলেই ট্রেন চালু হবে। সেখানকার রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পানি সরাতে কাজ করছেন। এতে সারা দিন লেগে যেতে পারে। ফলে কখন আবার ট্রেন চালু হবে, তা এখনই আমরা বলতে পারছি না।’
চাষাঢ়া স্টেশনে আসা যাত্রী রফিক বলেন, ‘ট্রেন চলাচল বন্ধ, তা আমার জানা ছিল না। এখন বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হবে। কিন্তু রাস্তার যে অবস্থা! একদিকে সংস্কার, অন্যদিকে যানজট। যেতে যেতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যাবে। ট্রেন থাকলে আধা ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছে যেতাম।’
আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমি প্রায় এক ঘণ্টা বসে আছি স্টেশনে। ভেবেছি দ্রুতই ট্রেন চলে আসবে। পরে শুনি, ট্রেন চলছে না। স্টেশনে একটি নোটিশ টাঙিয়ে দিলে সুবিধা হতো। অযথা আমার এক ঘণ্টা নষ্ট হলো স্টেশনে বসে থেকে।’
রেলওয়ে সূত্র বলছে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে প্রায় ১৮টি ট্রেন আপ-ডাউন করে। এই ট্রেনের মাধ্যমে লক্ষাধিক যাত্রী দৈনিক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে আসা-যাওয়া করে। হঠাৎ করে ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উভয় গন্তব্যের যাত্রীরাই ভোগান্তি পড়ে।
এ বিষয়ে কথা হলে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনের মাস্টার কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোনো ট্রেন চলেনি। রাতে ট্রেন চলবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। ধারণা করছি, আগামীকাল (আজ) সকালে পানি না থাকলে ধারাবাহিকভাবে ট্রেন চলাচল করবে।’