Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

জোয়ারে ভাঙছে বাঁধ ভয়ে ভয়ে কাটছে দিন

দাকোপ প্রতিনিধি

জোয়ারে ভাঙছে বাঁধ ভয়ে ভয়ে কাটছে দিন

দাকোপে নদীভাঙনে বিলীন হতে চলেছে নতুন নতুন এলাকা। জোয়ারের পানির চাপে তিলডাঙা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ভদ্রা নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে।

দ্রুত ভাঙনকবলিত স্থান মেরামত না করলে পানিতে প্লাবিত হয়ে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে তিলডাঙা ইউনিয়নের ০১ নম্বর ওয়ার্ডের নদী ভাঙনকবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডে ৩১ নম্বর পোল্ডারের অবস্থান। চালনা থেকে পাকাঘাট ও মোজাম নগর যাওয়ার রাস্তাটি ভদ্রা নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। রাস্তার তিন ভাগের দুই ভাগ নদীতে চলে গেছে। ওয়াপদা রাস্তার ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ, ভ্যান, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক চলাচল করছে।

এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে পানিতে প্লাবিত হতে পারে তিলডাঙা ইউনিয়ন। তারা অতি দ্রুত নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থান মেরামতসহ টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মিজান গাজী জানান, ওয়াপদা রাস্তার প্রায় ৩০০ ফুট নদীতে ভেঙে যাবে যাবে অবস্থা। ইটের রাস্তার তিন ভাগের দুই ভাগ নদীতে চলে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। আমরা যারা ওয়াপদা রাস্তার পাশে বসবাস করি তারা সবাই ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। যে কোনো সময় ওয়াপদা ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। পানি ভেতরে প্রবেশ করলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়বে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত নদী ভাঙনকবলিত স্থান মেরামতসহ টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম মোল্লা বলেন, ওয়াপদা রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। তিন ভাগের দুই ভাগ ভেঙে গেছে নদীতে। যদি নদীতে বড় ধরনের জোয়ার হয় তাহলে যে কোনো সময় ওয়াপদা ভেঙে এলাকা পানিতে প্লাবিত হবে। সাধারণ মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ইউনিয়নের প্রায় বিশ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়বে।

তিলডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন গাজী বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের পেছনে বিকল্প বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। বাজেট পেলে সেখানে জিও ব্যাগ ও ডাম্পিং করে ভাঙন প্রতিরোধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ