ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ ট্রাক্টরে করে ফসলি জমি থেকে মাটি নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। ফসলি জমিতে ডেকো মেশিন বসিয়ে এসব ট্রাক্টরের মাধ্যমে মাটি নেওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব জমিতে ফসল ফলাতেও পারছেন না স্থানীয় কৃষকেরা। এ ছাড়া কাঁচা রাস্তা দিয়ে এসব ট্রাক চলাচলে ধুলা-বালুতে আশপাশের ঘর-বাড়ি, দোকান পাট, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে বলেও জানা গেছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার উভারামপুর, নূরপুর, ভূলাচোঁ এলাকায় প্রায় ১০-১২টি অবৈধ ট্রাক্টর মাটি উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এসব অবৈধ ট্রাক্টরের চালক মাহাবুব, খলিল, কামাল, রুবেল, পিন্টু ও জাহাঙ্গীরের অত্যাচারে এলাকার পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া গত কয়েক বছর ধরে টোরামুন্সীর হাটে ইউ এন বি, বি জে কে, এম এন্ড বি ঝিকঝাক ও হাবিব ইট ভাটাসহ প্রায় ১০টি ভাটায় ইট তৈরির কাজে কৃষি জমি থেকে অবৈধ ট্রাক্টরের মাধ্যমে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। এসব অবৈধ ট্রাক্টর মালিক সাচনমেগের খোরশেদ, জাহাঙ্গীর মজুমদার, কাইতড়া গ্রামের কামাল, সাইফুল, নূরপুর সালাউদ্দিন, উভারামপুরের আলমগীর হোসেন বলে জানা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকেরা আরও বলেন, এসব ভূমিদস্যুদের অবৈধ ট্রাক্টর গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচলের ফলে এলাকার কৃষি জমি ও রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু গত মাসখানেক ধরে ফসলি জমির মাটি কেটে পুরো এলাকায় পুকুরে পরিণত করে ফেলেছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নজরে এসেছে। আমরা অবশ্যই অবৈধ ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে এর দ্রুত সমাধান হবে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক বা ভুক্তভোগীদের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পেলে ভালো হতো। তারপরেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখব।