কিশোরগঞ্জের ইটনায় গতকাল রোববার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে উপজেলা কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, তখনো দপ্তরের কার্যক্রম শুরু হয়নি। সামনে এগিয়ে দেখা যায়, তালা ঝুলছে আনসার ভিডিপি ভবন ও পল্লী উন্নয়ন ভবনের বিআরডিবি এবং আনসার ভিডিপি ব্যাংকে। ‘তথ্য আপা’র কক্ষে অফিস সহায়ক আজিজুল হাকিম লুঙ্গি পরে মেঝে পরিষ্কার করছেন। দুই মাঠ সহকারী হাজিরা দিয়ে বাসায় চলে গেছেন। পরে হাকিমও কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে চলে যান।
জানালা খোলা অথচ দরজায় তালা ঝোলানো যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কক্ষটি। পরে সকাল ৯টা পর্যন্ত দেখা গেছে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সমবায়, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, আইসিটি কর্মকর্তা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষণ, নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সবার কক্ষেই তালা ঝোলানো। বিভিন্ন সময়ে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলো নির্ধারিত সময়ের অনেক পরেও খোলা হয় না।
সদ্য নির্বাচিত ‘উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা’কে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তিনি দুপুরে ফোন করে বলেন, ‘আমি পরীক্ষা হলের দায়িত্বে আছি। আর সবাই অফিসে আছেন।’ তবে আপনি বাইরে থাকলে সবাই অফিসে জানলেন কীভাবে, প্রশ্ন করলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের ইটনায় নানামুখী সরকারি সেবায় উপজেলা পরিষদের অধীনে ১৭টি দপ্তর রয়েছে। বিদ্যুৎসাশ্রয়ী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সরকারি দপ্তরে সকাল ৮টা থেকে অফিস খোলার নির্দেশ থাকলেও গতকাল তা দেখা যায়নি। ১৭টি দপ্তরের অধিকাংশ ছিল তালাবদ্ধ, ৩-৪টিতে দেখা মেলে অফিস সহায়ক ও নৈশপ্রহরীর।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনই শুনলাম, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’