নিজ নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) থেকে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই সংস্থাটির এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি তদন্তের জন্য সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা হয়। গত সোমবার সেটি চসিকের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শহীদুল আলমের কাছে পৌঁছায়।
চিঠিতে বলা হয়, চসিকের সহকারী প্রকৌশলী সরোয়ার আলম খানের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে চাকরিতে যোগদান, নিজ নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চসিক থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ বাগিয়ে দেওয়া ও দুর্নীতিসহ কিছু অভিযোগ এনেছেন সচেতন নাগরিক পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার সদস্য সাইদুল হক চৌধুরী। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এ সব বিষয়ে তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামত ও তথ্য-প্রমাণসহ প্রতিবেদন দিতে চসিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ে চার পাতার একটি অভিযোগ দেন সাইদুল হক চৌধুরী। এতে উল্লেখ করা হয়, মেসার্স অলটেক করপোরেশন নামে সরোয়ার আলম খান ও তাঁর সহযোগী ঠিকাদারি করছেন। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রাফিক সিগন্যালের অচল মোড়সমূহের পোল তোলা ও আনুষঙ্গিক কাজ, চসিকের আওতাধীন মেমন হাসপাতালের পুরোনো ও নষ্ট এয়ার কন্ডিশন মেরামত এবং সার্ভিসিংয়ের কাজ করা হয়।
এ ছাড়া সরোয়ার আলম খান চসিকে চাকরি নেওয়ার সময় ২০০৩-২০০৪ সেশনে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ জমা দেন। অথচ একই সেশনে তিনি চট্টগ্রাম কলেজ থেকে অনার্স সনদ অর্জন করেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, ‘সহকারী প্রকৌশলী সরোয়ার আলম খানের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি আমাদের কাছে এসেছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
তবে সরোয়ার আলম খান দাবি করেন, ‘আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।’