Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

চারটিতে নৌকার বাধা বিদ্রোহী

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

চারটিতে নৌকার বাধা বিদ্রোহী

শেষ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বরগুনার তালতলী উপজেলার ছয় ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে ১৫ জুন। এসব ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ২৯ জন। তাঁদের মধ্যে চার ইউপিতে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী পাঁচজন। এ কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোটে জয়ী হতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দলীয় সমর্থন ভোটের মাঠে তাঁদের সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচার ও কৌশলের কারণে তাঁরা স্বস্তিতে নেই। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয় পেতে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।

সরকারদলীয় প্রার্থীদের এই অবস্থার জন্য দলীয় কোন্দল, প্রার্থী বাছাইয়ে উদাসীনতা এবং অন্যান্য কারণ দায়ী বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ১ নম্বর পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকার প্রার্থী রাজ্জাক হাওলাদারকে দিতে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষা। বিদ্রোহী হিসেবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর খোকন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন।

২ নম্বর ছোটবগী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী তৌফিক উজ্জামান তনু। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন ও মাহাবুব হোসেন। এই ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে কোনো ভূমিকা নেই। ভোটে এগিয়ে আছেন তৌফিক উজ্জামান তনু।

৩ নম্বর কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ইব্রাহীম সিকদার পনু। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন মুনসুর ও জলিল শরীফ এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রশিদ মিয়া। এই তিন প্রার্থীই ভোটারদের বিবেচনায় রয়েছেন। এ ছাড়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থীও ভোটের মাঠে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।

৫ নম্বর বড়বগী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আলম মুন্সী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল হক। মাঠে তাঁর শক্ত অবস্থান রয়েছে। এ ছাড়া গত নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির খলিফা মাঠে শক্তিশালী অবস্থানে আছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের পাখা প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত মাতুব্বর নীরবে ভোটের মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন।

৬ নম্বর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া। বিদ্রোহী প্রার্থী দুলাল ফরাজী বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনিও নির্বাচনী মাঠে ভালো অবস্থানে আছেন। এদিকে জামায়াত নেতা জালাল পিয়াদা নীরবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফলে ভোটের মাঠে হবে ত্রিমুখী লড়াই। তবে নৌকার প্রার্থী দাবি করছেন, কিছুটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে হলেও তিনি অনেক ভোটে জয়ী হবেন।

৭ নম্বর সোনাকাটা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সুলতান ফরাজীর জন্য চ্যালেঞ্জ স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির আকন ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউনুচ ফরাজী (বিএনপি)। কারণ, নৌকার প্রার্থীর জনপ্রিয়তা থাকলেও নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে নৌকার জয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক উজ্জামান তনু বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাঁর দলীয় পদ-পদবি কোনোটাই থাকবে না, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অটো বহিষ্কার হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী করতে আমাদের নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন। তবে বিদ্রোহীদের জন্য নৌকার প্রার্থীদের জয়ী করতে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ