চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কিউরেটর জাহীদ রেজা বাবু ফেসবুকে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। ২০২৪ বিপিএলে চট্টগ্রাম কতটা রানপ্রসবা ছিল, সেটিই ফুটে উঠেছে তাঁর পরিসংখ্যানে। অবশ্য চট্টগ্রাম সব সময়ই রানপ্রসবা। সিলেটে এবার তুলনামূলক কম রান উঠেছে। আর মিরপুর আছে আগের মতোই।
চট্টগ্রামে এবার ইনিংস গড়ে রান উঠেছে ১৬৬, সিলেটে সেখানে ইনিংসে গড়ে রান ১৩৮। মিরপুরে ইনিংস গড়ে রান ১৫০.৯১। তিন সেঞ্চুরির দুটিই হয়েছে চট্টগ্রামে। বাকিটা মিরপুরে। শেষ ভাগে চলে আসা বিপিএল চট্টগ্রামে যেভাবে রং ছড়িয়েছে, সেটি ধরে রাখার গুরুদায়িত্ব মিরপুরের কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার কাঁধে। যদিও পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে তাঁর ওপর আস্থা রাখা কঠিন! কিন্তু এবার উইকেট বিশ্রাম পায়নি, সূর্যের আলো সেভাবে পায়নি—দলগুলোকে এসব ‘অজুহাত’ দেওয়ার সুযোগ কম গামিনির।
আজ লিগ পর্বের শেষ দুটি ম্যাচে যে চার দল খেলবে, এর মধ্যে ফরচুন বরিশাল আর খুলনা টাইগার্সের একটাই চিন্তা, নিশ্চিত করতে হবে প্লে-অফ। তবে বরিশালের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের এসব চিন্তা নেই, চট্টগ্রামেই তাদের শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার। আর খুলনার বিপক্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স খেলতে নামবে টুর্নামেন্টটা ‘পজিটিভ নোটে’ শেষ করার লক্ষ্য। আগেই সিলেট চলে গেছে হিসাবের বাইরে।
বরিশাল কোচ মিজানুর রহমান আশাবাদী, চট্টগ্রামের মতো মিরপুরেও রান হবে, তাঁর দল শেষ চার নিশ্চিত করবে। মিজান গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘উইকেট বিশ্রাম পেয়েছে, আশা করি ভালো হবে। দেখা যাক কী হয়। খুলনার চেয়ে আমাদের নেট রানরেট ভালো, সে ভরসায় আছি। শুরুর দিকে টানা কিছু ম্যাচ হেরেছি, পরে ধারাবাহিক জিতলেও শুরুর হারের প্রভাব থেকে গেছে।’
খুলনার চেয়ে বরিশালের প্রতিপক্ষ তুলনামূলক কঠিন—বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। প্রতিপক্ষ কে, এটি না ভেবে বরিশালের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ভরসা করছেন নিজেদের শক্তির ওপর, ‘কাল (আজ) আমাদের বড় দলের বিপক্ষে খেলা। এই পর্যায়ে এসে নির্ভার হয়ে খেলার কোনো জায়গা নেই। আমরা যত আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারব, তত ভালো।’