আগামীকাল রোববারের মধ্যে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা। কোয়ারি খুলে না দিলে ৩১ অক্টোবর থেকে জেলায় ৪৮ ঘণ্টার এবং পরে পর্যায়ক্রমে পুরো বিভাগে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
এর আগেও যৌক্তিক-অযৌক্তিক দাবিতে পূর্বঘোষণা দিয়ে ও ঘোষণা ছাড়াই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে সিলেটবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলেন পরিবহনশ্রমিক ও মালিকেরা। আবার পরিবহন ধর্মঘটের ডাকে ক্ষুব্ধ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
পরিবহন শ্রমিকনেতারা জানান, সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারিগুলো থেকে স্বাধীনতা-উত্তরকাল থেকে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল।
প্রায় ১৫ লাখ ব্যবসায়ী-শ্রমিক ও পরিবহনমালিক-শ্রমিক এ পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পরিবহন খাত বিশেষ করে ট্রাকমালিক ও শ্রমিকদের ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ ট্রাকমালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাঁদের গাড়ি কিনেছেন।
গত ৫ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাকমালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়েছে। অনেক মালিক ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে ইতিমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
পরিবহনমালিক ও শ্রমিকনেতাদের দাবি, পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে কোয়ারিগুলোর পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখেছে প্রশাসন; কিন্তু এতে ‘আঁতে ঘা’ পাথররাজ্যের মালিকদের। তাঁরা গরিব শ্রমজীবীদের উসকানি দিয়ে মাঠে রাখার পাশাপাশি চালাচ্ছেন নানামুখী তৎপরতা।
ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেন, ‘এর আগে আমরা ১৬ অক্টোবর সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করি। আগামীকালের মধ্যে সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া না হলে ৩১ অক্টোবর থেকে সিলেট জেলায় ৪৮ ঘণ্টা এবং পর্যায়ক্রমে সিলেট বিভাগে সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করা হবে।’