কেউ বলছে অশ্বত্থ গাছ, কেউ বট গাছ, আবার কেউ বলছেন কাঞ্চনা বাদী গাছ। যে যে নামেই চিনুক না কেন শতবর্ষী এ গাছ ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নানা কৌতূহল দেখা দিয়েছে। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নম্বর রাইখালী ইউনিয়নের রাইখালী বাজার সংলগ্ন শ্মশান ঘাটে এই গাছটির অবস্থান।
রহস্যময় এই গাছের বয়স নিয়েও নানা জনের নানা মত পাওয়া গেছে। স্থানীয় বয়োবৃদ্ধরা বলছেন, এই গাছের বয়স ৪০০ বছরের কাছাকাছি। তাঁরা বলছেন তাঁদের দাদুরাও ছোট বেলা তাদের এই গাছের গল্প শুনিয়েছিলেন।
কথা হয় (৮০ বছর বয়সী) রাইখালী বাজারের বাসিন্দা ভোলা প্রসাদ ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছোট বেলা থেকেই আমি এই গাছ দেখে আসছি। আমার বাবাও দেখেছেন এবং দাদুও নাকি এই গাছ দেখেছেন। ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৪০০ বছর হবে এই গাছের বয়স। ছোট বেলায় গাছটির পাশে যেতে ভয় করত। মনে হতো, গাছের মধ্যে কেউ লুকিয়ে আছে।’
কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি রাইখালীর বাসিন্দা দীপক কুমার ভট্টাচার্য জানান, গাছটিকে স্থানীয় বাসিন্দা নানা নামে ডাকেন। কেউ বলে বটগাছ, কেউ বলে অশ্বত্থ গাছ। তবে এই গাছটি রাইখালী বাজারকে কর্ণফুলী নদীর করাল গ্রাস হতে রক্ষা করে আসছেন শত বছর ধরে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা রাইখালীর বাসিন্দা উইনুপ্রু মারমা বলেন, ‘রাতে এ গাছের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হিম শীতল বাতাস অনুভব করতাম।’
বৃক্ষটির পাশের রাইখালীর বাসিন্দা (বর্তমানে লন্ডনপ্রবাসী) মাসাং মারমা গাছটি নিয়ে ফেসবুকে এক পোস্ট দেন। তিনি সেখানে লিখেন, ‘ছোট কালে গভীর রাতে জেলেদের মধুর কণ্ঠে বাঁশির সুর ভেসে আসত গাছের নিচে থেকে, অনেক ভালো লাগত।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মধুসূদন বলেন, ‘গাছটির বয়স প্রায় ৪০০ বছর হবে। একে প্রাচীন ঐতিহ্য বলা চলে। এত বড় বৃক্ষ এখন আর দেখা যায় না।’