সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পিয়াইন নদে খনন যন্ত্র দিয়ে বালু তুলছে অসাধু চক্র। এতে ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে নদের তীরবর্তী চাটিবহর গ্রামের কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, ঘরবাড়ি ও ফসলের জমি।
ভুক্তভোগীরা বালু উত্তোলন বন্ধে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে উত্তোলনকারীদের দাবি, জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে নিয়ম মেনেই বালু তুলছেন তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী একটি মহল খনন যন্ত্র বসিয়ে চাটিবহর গ্রাম সংলগ্ন পিয়াইন নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তি সত্ত্বেও প্রতিদিন বালু তুলছে তারা। এভাবে বিপুল পরিমাণ বালু তোলায় চাটিবহর গ্রামের কবরস্থানের বাউন্ডারি ওয়ালসহ আংশিক নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দুটি মসজিদ, চাটিবহর ইসলামিয়া মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ, ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, বালু উত্তোলনকারীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেওয়ার সাহস করে না। এ ছাড়া হামলা-মামলার ভয় দেখানো হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বশির মিয়া দাবি করেন, জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে এবং নিয়ম মেনেই এখানে বালু তোলা হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কিংবা চাঁদাবাজি হচ্ছে না।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং বলেন, কোনোভাবেই নদের তীর ঘেঁষে বালু উত্তোলন করা যাবে না। এ রকম হয়ে থাকলে গিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।