আজ মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ। নাটকটি রচিত হয়েছে শওকত ওসমানের কালজয়ী উপন্যাস ‘ক্রীতদাসের হাসি’ অবলম্বনে। একই নামে নির্মিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রধান ড. সাইদুর রহমান লিপন। পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। আগামীকাল একই সময়ে রয়েছে দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, বাগদাদ অধীশ্বর বাদশা হারুন অর রশিদের স্ত্রী জুবায়দার বাদী মেহেরজানের সঙ্গে হাবসি গোলাম তাতারীর প্রেম। তারা দুজনে প্রচণ্ড সুখী। কিন্তু সুখের সন্ধানে থাকা বাদশা হারুন হাসতে পারে না। একদিন লুকিয়ে তাতারী আর মেহেরজানের হাসি শুনে ঈর্ষান্বিত হয় বাদশা। সে ভাবতে থাকে আমি যেখানে মন খুলে হাসতে পারি না, সেখানে তারা কীভাবে এত সুন্দর করে হাসতে পারে! বাদশা ঈর্ষান্বিত হয়ে তাতারী ও মেহেরজানকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
নির্দেশক লিপন বলেন, ‘ক্রীতদাসের হাসির প্রেক্ষাপট জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসন ও বর্বর স্বৈরশাসন। আইয়ুব খানের অপশাসনের যে গল্পটি খলিফা হারুন অর রশিদের চরিত্রের মাধ্যমে চিত্রায়ণ করা হয়েছে, তা যেন আজও ভাস্বর। আইয়ুবি অপশাসনের ইতিহাস উঠে এসেছে নাটকে।’
নাটকে অভিনয় করেছেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রভাষক মহসিনা আক্তার। আলোক পরিকল্পনা ও অভিনয় তত্ত্বাবধানে আছেন ধীমান চন্দ্র বর্মণ, সহকারী নির্দেশক আবদুর রাজ্জাক।