ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে অবস্থিত বাদশাহ ফাহাদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার লাতিন আমেরিকায় ইসলামের প্রাণকেন্দ্র।
আর্জেন্টিনার সরকারের দেওয়া ৩৪ হাজার বর্গমিটার জায়গার ওপর সৌদি অর্থায়নে ২০০০ সালে এটি নির্মিত হয়। এখানেই অবস্থিত লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় মসজিদ বাদশাহ ফাহাদ জামে মসজিদও। দোতলাবিশিষ্ট মসজিদের আয়তন ২ হাজার বর্গমিটার। এতে একসঙ্গে ৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। ৫০০ নারীরও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। মসজিদের সামনে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা রয়েছে।
কালচারাল সেন্টারে ছেলেমেয়েদের জন্য পৃথক দুটি ইসলামিক স্কুল রয়েছে। রয়েছে বয়স্কদের ইসলামশিক্ষার ব্যবস্থাও। কোরআন, আরবি ভাষা ও শরিয়া গ্র্যাজুয়েশন কোর্সও রয়েছে স্কুল দুটিতে। ১০ হাজার বইসমৃদ্ধ একটি বিশাল উন্মুক্ত লাইব্রেরি রয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় কোরআনের অনুবাদ, তাফসিরসহ ইসলামবিষয়ক রকমারি বই রয়েছে লাইব্রেরিটিতে। সব ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য দৈনিক ও সাপ্তাহিক লেকচার এবং বিভিন্ন উপলক্ষে কর্মশালারও আয়োজন করা হয় লাইব্রেরির সেমিনার হলে।
বাদশাহ ফাহাদ ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে উন্নত সাউন্ড সিস্টেম, প্রজেক্টরসহ অত্যাধুনিক সুবিধাসংবলিত ৫০০ আসনবিশিষ্ট একটি অডিটরিয়াম রয়েছে। সেমিনার, ওয়ার্কশপ, প্রশিক্ষণ, একক লেকচার, প্রশ্নোত্তর পর্বসহ প্রতি মাসে প্রায় ২০টি দাওয়াতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সব ধর্মের মানুষের জন্য অডিটরিয়ামের সব অনুষ্ঠান উন্মুক্ত থাকে।
এই মসজিদে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ আর জুমার দিনে প্রায় ১ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। সেন্টারটির প্রশংসনীয় দাওয়াতি কার্যক্রমগুলো হলো- অমুসলিমদের জন্য ইসলাম পরিচিতিমূলক প্রেজেন্টেশন, আরবি ভাষাশিক্ষা কোর্স, ইসলামি সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক পরিচিতিমূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং ‘ডিসকভার ইসলাম’ নামে সাপ্তাহিক রেডিও সম্প্রচার।